চলমান বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বেশ ছন্দে ছিল ভারত। উড়তে থাকা সেই ভারতকে মাটিতে নামিয়ে আসরে প্রথম হারের লজ্জা দিল ইংল্যান্ড। যে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে গত ২৭টি বছর ভারতকে হারাতে পারেনি, তারাই কিনা গতকাল রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে কোহলিদের। এমন হারের ধরণ দেখে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভারতের সমালোচনা। ক্রিকেট সমর্থকদের প্রশ্ন, ভারত কি তবে ইচ্ছা করেই হেরেছে?
ভারত ইচ্ছা করেই হেরেছে কিনা তা কিছুতেই বলা যায় না। কারণ এখন পর্যন্ত ভারতের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়নি। হাতে বাকি দুই ম্যাচ। দুটি ম্যাচে জিততে না পারলে বাদ পড়তে পারে ভারতও।
সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট এবং ০.৮৫৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। পরের দুই ম্যাচে কোহলিদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা, দুই ম্যাচেই যদি ভারত বাজেভাবে হেরে যায় তাহলে বাদ পড়তে পারে ২০১১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তানের। ভারত যদি দুই ম্যাচে হারে এবং বাংলাদেশ যদি দুই ম্যাচেই জিতে তাহলে ভারতকে টপকে মাশরাফিদের সুযোগ থাকবে শেষ চারের। তখন বাংলাদেশ-ভারতের পয়েন্ট হবে সমান ১১। রান রেটে এগিয়ে কোহলিরা। বাংলাদেশের বর্তমান রানরেট -০.১৩৩। তাই বাংলাদেশকে শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিতে রান রেটও ভালো করতে হবে।
একই সমীকরণ পাকিস্তানের সামনেও। পাকিস্তান যদি শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারায় তাহলে সম্ভাবনা থাকবে তাদেরও। কিন্তু তার আগে অবশ্যই ভারতকে হারতে হবে বাকি দুই ম্যাচে। শুধুমাত্র নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারলেই বাদ পড়তে পারে বিরাট কোহলির দল।
এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে। বাকি তিন পজিশনের জন্য লড়ছে পাঁচ দল যথাক্রমে-ভারত,নিউজিল্যান্ড,ইংল্যান্ড,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। সুতরাং শেষ মুহূর্তে কপাল খুলতে পারে যেকোনো দলেরই।
সৌজন্যে- এনটিভিবিডি