রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেম করায় সংসার হারিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী। শুধু তাই নয়, তার একমাত্র সন্তানকেও রেখে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই নারী আশ্রয় নিয়েছেন প্রেমিকের বাড়িতে। তবে ঘটনার পর থেকে সেই ছাত্র পলাতক।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীসহ দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হরিশপুর গ্রামের আজিমুদ্দীনের ছেলে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে গত আট মাস ধরে পাশের বাড়ির এক প্রবাসীর স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল বিকেলে ওই প্রবাসীর বাড়িতে বৈঠক বসানো হয়।
স্থানীয় কাজীসহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য লুৎফর রহমানের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে প্রবাসীর ওই স্ত্রীর বাবাসহ পরিবারের লোকজনকে উপস্থিত করা হয়। ওই বৈঠকে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে তিন বছরের বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে এবং স্বামীর তালাকনামায় স্বাক্ষর নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ওই নারী প্রেমিক হুমায়ন কবিরের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। তবে পলাতক হুমায়ন গতকালও বাড়িতে ফেরেনি।
এ বিষয়ে বাধাইড় ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই নারী তার প্রেমিক হুমায়নের সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিজেই তার প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। এখন হুমায়নকে বিয়ে করার জন্য তার বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।