Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল আগে থেকেই। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর ইনজামাম উল হক প্রধান নির্বাচকের পদ হারাতে চলেছেন, এমন কথাই ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে। তবে চাকরি হারানোর সময়টা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করলেন না পাকিস্তানের এই ব্যাটিং কিংবদন্তি। আগামী ৩১ জুলাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তার আগেই আজ (বুধবার) পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।

২০১৬ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইনজামাম। তার সময়কালেই দুই বছর আগে (২০১৭) ভাঙাচোরা এক দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে আনপ্রেডিক্টেবলরা। তবে বিশ্বকাপে দলকে কাঙ্ক্ষিত ফল এনে দিতে পারেননি ইনজামাম। টুর্নামেন্টের আগে তার দল বাছাই নিয়েও বিতর্ক ছিল। মোহাম্মদ আমির আর ওয়াহাব রিয়াজের মতো পরীক্ষিত দুই পেসারকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন ইনজামাম। পরে সমালোচনার মুখে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। পাকিস্তানের ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশনে এই দুজনই ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল।

chardike-ad

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দল নির্বাচন থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়েই পর্যলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়া পাকিস্তানের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে ইনজামামকেও। এমন মুহূর্তে কঠিন সিদ্ধান্তটা নিলেন তিনি।

নির্বাচকের চেয়ার থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে ৪৯ বছর বয়সী ইনজামাম বলেন, ‘প্রায় তিন বছরের অধিক সময় ধরে পাকিস্তান দলের নির্বাচক কমিটিতে থাকার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নতুন করে আর চুক্তি করব না। সেপ্টেম্বর থেকে আইসিসি টেস্ট চ্যম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি এবং ২০২৩ সালে আছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আমি মনে করি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন একজন প্রধান নির্বাচক নিয়োগ দেয়ার এখনই সঠিক সময়। যিনি কিনা নতুন পরিকল্পনা ও চিন্তাচেতনা নিয়ে আসতে পারবেন।’

সমালোচনা যতই হোক। ইনজামামের সময়কালেই পাকিস্তান পেয়েছে বাবর আজমের মতো ব্যাটিং ভরসাকে। পেয়েছে ফাখর জামান, হাসান আলি, ইমাম উল হক, মোহাম্মদ আব্বাস, শাদাব খান, শাহীন শাহ আফ্রিদিদের মতো তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচকের আশা, এই তরুণরাই দলকে সামনের সময়টায় বিশ্বমঞ্চে এগিয়ে নিতে পারবে।