বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে নতুন একটি ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। সেই খবরটিই সম্প্রতি জানান দিয়েছে লাস্যময়ী অভিনেত্রী মৌসুমী। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের এই প্রিয়দর্শিনী ঘোষণা দিয়েছেন তিনি শিল্পী সতিমতির আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে যাচ্ছেন। প্রতিপক্ষ শিবিরকে পরাজিত করে মৌসুমী যদি জয় ছিনিয়ে আনতে পারেন। সত্যি সত্যিই তাহলে সমিতিতে একটি নতুন ইতিহাস রচিত হবে। কারণ এর আগে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এই শীর্ষ পদটিতে কোনো নারী প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে দেখা যায়নি।
মৌসুমীর এমন সিদ্ধান্তকে সহ-শিল্পী থেকে শুরু করে এই অঙ্গনের অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই লাস্যময়ীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগরও মৌসুমীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মিশা সওদাগর বলেন, ‘মৌসুমী একজন ভালো অভিনেত্রী। পরিক্ষীত অভিনেত্রী। শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় সংগঠনটির শীর্ষ পদে তিনি দাঁড়াতেই পারেন। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মৌসুমীর অনেক গুণই রয়েছে। একজন সাধারণ শিল্পী হিসেবে মৌসুমীকে জানায় অগ্রিম শুভেচ্ছা।’
সভাপতি পদে মৌসুমীর নির্বাচনের খবর প্রকাশের পর খানিকটা নড়ে চড়েই বসেছেন প্রতিপক্ষ শিবির। অবশ্য এর কারণও রয়েছে। মৌসুমী আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বর্তমান কমিটির অনেকেই প্রকাশ্যে মৌসুমীকে সাপোর্ট করছেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা মৌসুমী যদি ঠিক ঠাক প্যানেল ঘোষণা করতে পারেন তাহলে জয় নিশ্চিত।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে নিয়ে বর্তমান কমিটিতে থাকা অনেক সদস্যর মধ্যেই রয়েছে চাপা ক্ষোভ। এদের মধ্যে অনেকেই আবার প্রকাশ্যে বলছেন শিল্পী সমিতির কার্যালয় জায়েদ খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পরিনত হয়েছে। এমন আরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনেও মৌসুমী কার্য নির্বাহী সদস্য হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শপথ গ্রহণ না করে পরে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।