
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের চুক্তিভিত্তিক ক্যামেরাপারসন হুসাম আল-মাসরি। প্রথম দফার বোমা হামলাতেই তিনি নিহত হন। এরপর যখন উদ্ধারকর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন দ্বিতীয় দফায় আরও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।
এই দ্বিতীয় হামলায় প্রাণ হারান আল-জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ সালামা, ফ্রিল্যান্সার মারিয়াম আবু দাকা এবং এনবিসির মুয়াজ আবু তাহা। এছাড়া রয়টার্সের অপর আলোকচিত্রী হাতেম খালেদ গুরুতর আহত হন। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি মুক্ত সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ। সাংবাদিকদের আতঙ্কিত করে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিতেই ইসরায়েল এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে।”
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, নাসের হাসপাতালে এই চার সাংবাদিক নিহত হওয়ার পর থেকে চলমান যুদ্ধে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪ জনে।
হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক সাংবাদিক আল-জাজিরাকে জানান, টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ ভেঙে পড়েছে। তাই হাসপাতালগুলোই সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহ ও পাঠানোর বিকল্প কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।
তিনি বলেন, “আমরা আহত ফিলিস্তিনিদের খোঁজ করি, জানাজা ও দাফনের খবর সংগ্রহ করি, এমনকি অপুষ্টি-সংক্রান্ত তথ্যও হাসপাতাল থেকেই পাই। সে কারণেই হাসপাতালগুলো সাংবাদিকদের প্রধান আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। আর সেখানেই আমাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলো।”





































