বাহরাইনে পৃথক দুটি স্থান থেকে জহির (৩২) এবং মোহাম্মদ বাবলু (২৮) নামের ২ বাংলাদেশি শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার স্থানীয় মানামা সেন্টার (বাঙ্গালী গলি প্রকাশ) বিপরীত পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার নিজ কক্ষ থেকে মোহাম্মদ বাবলু মিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে নাঈম থানার পুলিশ। এর আগে, শনিবার স্থানীয় আল হামালায় নিজ কক্ষ থেকে জহিরকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হামাদ টাউন থানা পুলিশ।
নিহত জহির নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার গোপালপুর এলাকার কোটারা মহব্বতপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্লা মেম্বারের পুত্র। আর মোহাম্মদ বাবলু মিয়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার পশ্চিম বিটংগল এলাকার নাজারপুর গ্রামের মোহাম্মদ হেলাল মিয়ার পুত্র। তাদের লাশ সালমানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্স মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছ বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের আত্মীয় সূত্রে জানা যায়, জহির প্রায় ৪ বছর আগে বাহরাইনে যায়। সেখানে সে মিট ফ্যাক্টরিতে বড় ভাইয়ের সাথে কাজ করতেন। ফ্যাক্টরির পাশে কোম্পানির একটি কক্ষে জহিরসহ ৩ জন থাকতেন।
ঘটনার দিন সকাল বেলায় কক্ষের অপর ২ জন কাজে যাওয়ার সময় জহিরকে মোবাইলে কথা বলতে দেখেন। কাজে অনুপস্থিত দেখে মালিকের পুত্র তার খোঁজ খবর নিতে কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করেন কিন্তু দরজা বন্ধ দেখে তিনি পুনরায় ফ্যাক্টরিতে গিয়ে সহকর্মীদের থেকে চাবি সংগ্রহ করে কক্ষের দরজা খোলেন। এ সময় তিনি জহিরকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় পাখার সাথে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
স্থানীয় সময় আড়াইটায় পুলিশ এসে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানালে, রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে জনকল্যাণ প্র্রতিনিধি তাজউদ্দিন সিকান্দারসহ পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পরদিন একই ঘটনায় নিহত বাবলু সম্পর্কে স্থানীয় সূত্র জানায়, বাবলু ওই ভবনের একটি কক্ষে থাকতেন। বুধবার সকালে কক্ষের বাকি ৮ জন কাজে যাওয়ার সময় বাবলুকে কক্ষে একা ছিলেন। বিকেলে কাজ থেকে ফিরে কক্ষের লোকজন দরজা খুলে বাবলুকে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় পাখার সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন।
পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও তাজউদ্দিন রাতে লাশটি উদ্দার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ঘটনার কারণ জানা যায়নি।