দক্ষিণ আফ্রিকায় এক ধর্মীয় প্রথানুসারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে। এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, “নিহত ওই সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারের নাম নওয়াজ খান। তাকে তার বাড়ির কাছে এক বনে প্রলোভিত করে নিয়ে যায় তারই সবচেয়ে কাছের বন্ধু থানডোখ ডুমা এবং এক কবিরাজ। সেখানেই ছুরি দিয়ে তার শিরশ্ছেদ করা হয়।”
তার বন্ধু ডুমা এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত। ডুমা স্বীকার করেন, এক কবিরাজ সমস্যার কথা বলে মানুষের মাথা আনতে তাকে অনুরোধ করে। তার জন্যই ওই বন্ধুর মাথা কাটা হয়।
২০১৩ সালে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পুরস্কারে মনোনীত হন নওয়াজ খান। খেলাধুলার জন্যই সেখানে বাস করেন তিনি।
তার মা জাকিয়া খান বলেন, “হাশিম আমলার কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার পর নওয়াজ আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠে। এটি ছিল তার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন।”
তিনি আরও জানান, তার ছেলে লিখতে ও পড়তে পারতো না। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলতো। তার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করলেও সে এই পথ থেকে চ্যুত হয়নি।
প্রতিবন্ধীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আলবার্ট ওয়ারনিক বলেন, ‘ ক্রিকেট দলের সঙ্গে তার বিদেশ সফরের কথা ছিল।’
সাবেক জাতীয় ক্রিকেট কনভেনর এবং টিম ব্যবস্থাপক উইনস্টন স্টাবস বলেন, “নওয়াজ খান ছিলেন খুবই সুশৃঙ্খল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান। সে সবসময় প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতো।”