সিঙ্গাপুরে সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেল্লা হোটেলে ট্রাম্প ও কিমের একান্ত বৈঠক ও পরে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরই উভয় দেশের নেতারা একটি যৌথ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। বিবিসি, রয়টার্স
দুই নেতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আজকে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই গর্বিত। আমরা উভয়ই কিছু করতে চাই এবং করতে যাচ্ছি।’
ট্রাম্প-কিমের যৌথ ঘোষণার চারটি মূল পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন বিবিসি-
১. দুই দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া নিজেদের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ার অঙ্গীকার করেছে।
২. কোরীয় উপদ্বীপে টেকসই এবং স্থিতিশীল শান্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া একসঙ্গে কাজ করবে।
৩. চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজোম ঘোষণা পুনর্নিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি।
৪. যুদ্ধবন্দীদের উদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই যা সনাক্ত করা হয়েছে তা অবিলম্বে পুনর্বাসনের অন্তর্ভুক্ত করাসহ উভয় দেশই পিওএম বা এমআইএ পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে।
ট্রাম্প-কিমের মধ্যকার মুখোমুখি বৈঠকটি ৪০ মিনিটেরও কম সময় স্থায়ী হয়। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ও কিমের ব্যক্তিগত বৈঠক মোট ৩৮ মিনিট স্থায়ী হয়েছে।