আবুল কালাম আজাদ প্রবাস থেকে স্বদেশে ফিরছেন নিথর নিষ্প্রাণ হয়ে। মঙ্গলবার তার মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। ওমানের চট্টগ্রাম সমিতি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় শাখার উদ্যোগে ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সোমবার রাতে রিজেন্ট এয়ারওয়েজে বিশেষ ব্যবস্থায় মাসকাট থেকে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার গুরুতর আহত হয়ে ১০দিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওমানের সোহার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। গত ৯ সেপ্টেম্বর মাসকাট থেকে সাহাম যাওয়ার পথে সুয়েক এলাকায় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসায় ছিলেন। গুরুতর আঘাতে তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। মস্তিষ্কে দুবার অস্ত্রোপচার করেও বাঁচানো যায়নি তাকে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের হানিফ ফকির বাড়ির জেবল হোসাইনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ ১৯৯০ সালে ওমান প্রবাসী হন। প্রথমদিকে তিনি থাকতেন ওমানের বাণিজ্যিক ও শহর জালান বানি বুয়ালী এলাকায়। তার উদ্যোগেই গড়ে ওঠে জালানের বাংলাদেশ স্কুল।
তিনি এই স্কুলের সাবেক চেয়ারম্যান। মাঝে কয়েক বছর দেশে কাটিয়ে ২০১০ সালে তিনি আবার ওমান প্রবাসী হন। স্ত্রী রাশেদা বেগম ও দুই ছেলে আরিফ আজাদ ও আকাশ আজাদকে নিয়ে থিতু হন সাহাম শহরে। এখানে তিনি কার্গো ব্যবসা করতেন।