Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তুমুল বিতর্কের মধ্যেই ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস

india-newsভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হলো নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ভারতজুড়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি উত্থাপন করেন। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৩টি এবং বিপক্ষে পড়েছে ৮২টি ভোট।

বিলটি সংসদে পেশের সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তোলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। বিলটি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ বিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের লক্ষ্য করেই এই বিলটি তৈরি করা হয়েছে।’ অধীর অভিযোগ করে বলেন, ‘বিলটি সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে।’ ওই অনুচ্ছেদে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
বিলটিকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ বলে আখ্যা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। যদিও অমিত শাহ দাবি করেছেন, এই বিল সংখ্যালঘুদের বিরোধী নয়।

chardike-ad

অমিত শাহ বলেন, ‘আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের ধর্মের উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ভাগের পর, ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত সমঝোতার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে।’ তার দাবি, তিন দেশেই হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি, ও খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার হয়েছে। ওই তিন দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই বিল, জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অমিত শাহ আরও বলেন, ‘কংগ্রেসই ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাজন করেছে। এটা ইতিহাস বলছে। আর এখন এটা কংগ্রেসকে শুনতে হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পরই লোকসভায় তুমুল হই হট্টগোল শুরু হয়।

এদিকে বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘কেউ বাংলার মানুষকে ছুঁতে পারবে না। সিএবি বা এনআরসি কেউই নয়। আমি এখানে আছি।’

উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর প্রস্তাবিত বিলটি ভারতের মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পায় । ১১ ডিসেম্বর সরকার এই বিল রাজ্যসভায় উত্থাপন করতে পারে। বিলটি পাস হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ, যারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও আনন্দবাজার পত্রিকা।