Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দুবাইয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ‘বাংলা বাজার’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইয়ের মুহাইছেনা এলাকার সুনাপুর বাংলা বাজার গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার (২১ মার্চ) মরণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতার অংশ হিসেবে অস্থায়ী ও অবৈধ বাজারটি গুঁড়িয়ে দেয় দুবাই পুলিশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস রোধে আমিরাতের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

দুবাইয়ের অধিকাংশ কোম্পানির আবাসন অত্র এলাকায়। এখানে বেশিরভাগ এশিয়ান নাগরিকদের বসবাস। বিভিন্ন কোম্পানির আবাসনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের হাট-বাজারের ন্যায় একটি বাজার। জানা যায়, মানুষের মুখে মুখে এ স্থানের নাম হয় ‘সুনাপুর বাংলা বাজার’।

chardike-ad

বাংলাবাজারে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মাছ-মাংস, ফলমুল, শাকসবজি, পোশাক, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্থায়ী স্টল নিয়ে বসত ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এখানে ঝালমুড়ি, দেশি দই, চানাচুর, অমলেট, ভাপা পিঠাসহ দেশীয় খাবারের দোকান নিয়ে বসেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। রয়েছে অস্থায়ী সেলুন, পানের দোকান।

বাংলা বাজার নাম হলেও সেখানে অন্যান্য দেশের বেশ কিছু দোকান রয়েছে। পাকিস্তান, ভারত, নেপালিরা কিছু পণ্য নিয়ে বসতে দেখা যেত।

জানা যায়, সুনাপুর বাজারের অস্থায়ী ১৫০০ দোকান কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছিল চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আখড়া। নিয়মিত চাঁদাবাজির পাশাপাশি ছিল গ্রুপিং। ছিল জুয়ার আড্ডা, মাদকদ্রব্য বিক্রির অন্যতম স্থান ছিল এটি।

ভিজিট ভিসায় এসে কিছু বাংলাদেশিরা কাজ না পেয়ে সুনাপুর বাংলা বাজারে এসে এ সব অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত হতেও দেখা যেত। একটা পর্যায়ে এটাই তাদের পেশায় পরিণত হতো।

বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর দুবাইয়ে প্রশাসনের নজরদারি থাকার পরেও লোকসমাগম বেশি হওয়ার ফলে অপরাধ কর্মকাণ্ড চলছিল। বারবার প্রশাসন অস্থায়ী বাজারটি উচ্ছেদ করার পরেও আবার বসানো হতো। কিন্তু গত শনিবার স্থায়ীভাবে গুঁড়িয়ে দিয়ে জায়গাটিতে প্রশাসনিক বোর্ড বসানো হয়েছে।