‘গাধা’দের দিন আজ

জীবনে একজন মানুষকে যে প্রাণীর সাথে সবচেয়ে বেশি তুলনা করা হয় তার নাম গাধা। কোনো ভুল করলে, কোনো বিষয় না বুঝলে একটাই উপমা- গাধা। অপমান করতেই যেন বলা হয়, ‘গাধার মতো কথা বলো না’ কিংবা ‘গাধার মতো কাজ করো না’ কিংবা ‘তোমার মতো গাধা আর দেখিনি’।

chardike-ad

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই উপমা অপমানকর হলেও কখনো কখনো তা পরিশ্রমীর মানদন্ড হিসেবেও বিবেচিত হয়, যেমন- ‘লোকটা গাধার মতো খাটে’। ফলে মানুষের জীবনে ‘গাধা’ শব্দটি ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। উপমায় নানাভাবে গাধা শব্দটি ব্যবহার হলেও প্রাণী গাধার প্রতি মানুষের ভালোবাসা অগাধ। সেই ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রাণীটির প্রতি সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরির উদ্দেশ্যে ৮ মে পালন করা হয় ‘বিশ্ব গাধা দিবস’। আজ সেই দিন।

যেভাবে এলো গাধা দিবস

প্রায় দশ বছর আগে থেকে ঘটনার সূত্রপাত। আর্ক রাজিক নামে মরুভূমির এক প্রাণী বিশেষজ্ঞ লক্ষ্য করেন, গাধার মতো পরিশ্রমী প্রাণীটির অবদান সমাজে তেমন স্বীকৃতি পাচ্ছে না। তিনি তখন একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সচেতনতা ছড়ানোর কাজ শুরু করেন। সেই পেজে তিনি এই প্রাণীটির বিভিন্ন প্রজাতির কথা লিখতেন। অবশেষে ২০১৮ সালে বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপনের ধারণা আসে এবং তখন থেকে দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো- এ প্রাণী সম্পর্কে তথ্য ছড়ানো ও তার মানবিক অবদান তুলে ধরা।

ইতিহাস বলছে, আধুনিক গাধার দুটি পূর্বপুরুষ আছে। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপ-প্রজাতি এবং এগুলো হলো সোমালি বন্য গাধা ও নুবিয়ান বন্য গাধা। তারা মাইলের পর মাইল কার্গো টানতে সক্ষম। অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বেশি সময় পরিশ্রম করতে পারে। তাদের চলার গতি ঘণ্টায় ৩১ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। গাধার গড় আয়ু ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে হয়।