
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রোববার (২৪ আগস্ট) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মাঝে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। একই সময়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন আরও ৮ জন।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের বরাতে জানানো হয়েছে, গত ৬ আগস্ট গাজা শহরে অভিযান শুরুর পর থেকে জেতুন ও সাবরা এলাকাজুড়ে এক হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অসংখ্য মানুষ চাপা পড়ে আছে বলেও দাবি করছে সংস্থাটি।
সিভিল ডিফেন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টানা গোলাবর্ষণ এবং অবরুদ্ধ সড়কের কারণে ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ফলে নিখোঁজ অনেক মানুষের খোঁজ মিলছে না, আর হাসপাতালগুলোতে আহত রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সংস্থাটি সতর্ক করে জানিয়েছে- গাজার কোনো অঞ্চলই আর নিরাপদ নেই। ঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি ত্রাণ বিতরণস্থল পর্যন্ত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
গাজার বিভিন্ন এলাকায় চলমান অভিযানে ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। শুধু সাবরা মহল্লায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, রাফাহ শহরের মতো পুরো গাজা শহরকে ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল।
শহরের আল-জালাআ সড়কে একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। একই সঙ্গে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একাধিক ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মোট ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১৫ জনই শিশু।



































