
মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত টিকা ইক্সচিকের লাইসেন্স স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ আসার পর এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।
গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) টিকাটির নির্মাতা ফরাসি প্রতিষ্ঠান ভ্যালনেভা এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) অনুমোদিত মশাবাহিত এ ভাইরাস প্রতিরোধে দুটি টিকার একটি ইক্সচিক। ২০২৩ সালে টিকাটি অনুমোদন পেলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের মধ্যে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধরা পড়ায় তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়।
কোম্পানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এফডিএর নির্দেশনা অনুযায়ী গত শুক্রবার থেকে লাইসেন্স স্থগিত কার্যকর হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হওয়া চারটি গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত আসে, যাদের মধ্যে তিনজনের বয়স ছিল ৭০ থেকে ৮২ বছরের মধ্যে।
ভ্যালনেভার প্রধান নির্বাহী থমাস লিঙ্গেলবাচ বলেন, “আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করছি। বিশ্বব্যাপী চিকুনগুনিয়ার হুমকি বাড়ছে, তাই স্বাস্থ্যসুরক্ষার অংশ হিসেবে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
অর্থনৈতিক দিক থেকেও বড় ধাক্কা খেয়েছে ভ্যালনেভা। সোমবার সকালে প্যারিসের শেয়ারবাজারে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর ২৬ শতাংশের বেশি হ্রাস পায়। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভ্যাকসিনটির বিশ্বব্যাপী বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশাবাহিত এই ভাইরাস নতুন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভবিষ্যতে তা মহামারির রূপ নিতে পারে। যদিও চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু বিরল, তবে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
গত জুলাইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছিল, চিকুনগুনিয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের মহামারির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ডব্লিউএইচওর মতে, বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা দুই দশক আগে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের আগে পাওয়া সংকেতের মতো।
সূত্র : রয়টার্স



































