
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, কোন নীতিমালার আলোকে এনসিপিকে শাপলা কলি প্রতীক দেওয়া হলো এবং কোন নিয়মে শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি- এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তিনি অভিযোগ করেন, কমিশন রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যে পড়ে এজেন্ডাভিত্তিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে।
শনিবার দুপুরে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এনসিপির আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এ কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।” তিনি দাবি করেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে দুই ভাগে বিভক্ত, এবং এনসিপি সংস্কারের পক্ষে থাকা দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “জুলাই সনদ না দেখে বিএনপি স্বাক্ষর করেনি। আমরা যখন স্বাক্ষর করিনি, তখন আমাদের দায়ী করা হয়েছিল। এখন তারাই আমাদের জায়গায় চলে গেছে।” তিনি আরও জানান, জাতীয় নির্বাচনের সক্ষমতা যাচাইয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাইলেও বিএনপি তাতে বাধা দিয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাকে সমালোচনা করে এনসিপি নেতা বলেন, “শেখ হাসিনার আমলে জবাবদিহিবিহীন নির্বাচন কমিশন চলেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে জবাবদিহিতা রাষ্ট্র চলবে।”
ইসলামী দল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী দল সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর জানা নেই।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূল সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করাই তাদের মূল লক্ষ্য। বরগুনা জেলা এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জেলা কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সভায় জেলা–উপজেলা পর্যায়ের নেতারা দলীয় কাঠামো মজবুত করা, তৃণমূল নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নসহ আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন এবং যুগ্ম সদস্যসচিব ও শিক্ষা-গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত প্রমুখ।








































