
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসী’ কার্যকলাপ রুখতে সোমবার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
তিনি জানান, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলকে নিয়ে সোমবার শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভারতপন্থী কোনো ব্যক্তি বা দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। জাবের বলেন, শহীদ মিনার থেকেই ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে জাবের বলেন, তার অবস্থার কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ ও তার পরিবার। চিকিৎসকদের সম্মতি মিললেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ইতোমধ্যে ভাড়া করা হয়েছে।
হাদির ওপর হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাবের। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনার পর ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নিজেরা তথ্য সংগ্রহ না করে তাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে, অথচ হামলাকারীদের গতিবিধি অনুসরণ করে দ্রুত গ্রেপ্তার করাই ছিল তাদের দায়িত্ব।
এ সময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জাবের আরও বলেন, শরিফ ওসমান হাদির কোনো ক্ষতি হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায় ঘণ্টা তখনই বেজে যাবে। কারণ ছাত্র-জনতার সমর্থনেই এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে, আর তারাই প্রয়োজনে এই সরকারকে নামিয়ে দেবে।





































