Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরাকে ‘দাস’ হয়ে আছেন বাংলাদেশী শ্রমিকরা?

bangladeshi-labour
ইরাকের আরবিল বিমান বন্দরে দক্ষিণ এশীয় শ্রমিক। এদের অনেকের অভিযোগ তাদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।

ইরাকে ক’জন বাংলাদেশি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, কাজের জন্যে নিয়ে যাওয়া হলেও তাদেরকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে।

নাজাফ শহরে তাদের একজন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন যে একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজ দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন দাস হিসেবে পাচারের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে।

chardike-ad

তবে ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আবু তোরাব নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা কাজ করতে পারছেন না। কিন্তু অন্যত্র তাদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা চলছে।

গত মে মাসে প্রায় ১৮০ জন বাংলাদেশি ওই কোম্পানিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে ইরাকে গিয়েছিলেন।

নাজাফ থেকে মোহাম্মদ সিদ্দিক জানান, প্রায় ছ’মাস আগে ইরাকে যাওয়ার পর থেকে তারা মূলত আটক অবস্থায় আছেন।

”কোন কাজ নাই, ওখানে আমাদের রাখছে মে মাস থেকে। ইরাক সরকার মনে করে আসলে ওটা কোন কোম্পানি না। আমাদের ১৮০ জন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক আটক রাখছে। ১৬ জন বেশি প্রতিবাদী ছিল বলে এদের সবাইকে সরিয়ে ফেলছে।”

মি. সিদ্দিক মনে করেন দেশে ফেরত পাঠানোর নামে তাদের হয়তো অন্যত্র পাচার করা হবে।

তিনি বলেন, ”তারা বলে, রুম থেকে বের হলো তোমাদের মেরে ফেলবো। থাকলে এখানে থাকতে হবে। আমরা তোমাদের ২৭০০ ডলারে কিনেছি। ইচ্ছা করলে পাচার করবো। ইচ্ছা করলে তোমাদের দাস বানাবো।”

নাজাফ শহরে থাকা অপর এক শ্রমিক মো. শহিদুল ইসলাম একই অভিযোগ করে বলেছেন, একটা রুমে বন্দী অবস্থায় তারা অসহায় জীবনযাপন করছেন।

”পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে ইরাক আসছি। কিন্তু এখানেও আমরা কাজ করতে পারতেছিনা, আটকে আছি,” মি. ইসলাম বলেন, ”পরিবারকে টাকা পাঠাইতে পারতেছিনা। আমাদের অনেকের পরিবার খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে আছে।”

তবে ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজানুর রহমান খান জানিয়েছেন, আবু তোরাব কোম্পানিটি ফান্ডের কারণে বন্ধ আছে যে কারণে তারা কাজ শুরু করতে পারেনি এবং শ্রমিকেরাও কর্মহীন অবস্থায় আছে।

মি. খান জানান, পুরো বিষয়টি ইরাক সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাস জানে এবং তারা অন্য কোন কোম্পানিতে এই ১৮০ শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, কয়েক মাস কাজ করতে না পেরে টাকা উপার্জন করতে না পেরে হতাশা থেকে শ্রমিকেরা এমন মন্তব্য করে থাকতে পারে।

এমনকি স্বার্থান্বেষী কোন মহল এই অবস্থার ফায়দা লোটার চেষ্টা করতে পারে বলেও মি. খান মনে করেন।

সূত্র: বিবিসি