Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আবার উত্তাল হংকং

hongkonহংকং সরকারি সদর দপ্তরের সামনে পুলিশের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থিদের সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সদর দপ্তরটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে বেশ কিছুক্ষণ পার্লামেন্ট ভবন অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। সোমবার এ ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পিপার স্প্রে ও জলকামান ব্যবহার করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

এ সময় অন্তত ৪০ আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন। তবে সরকারি কর্তৃর্পক্ষ হাসপাতালে ৩৭ জনের চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। আন্দোলনকারীরা অবস্থান ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। খবর :বিবিসি, এএফপি, সিএনএন, রয়টার্স।

chardike-ad

নতুন করে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ফলে গণতন্ত্রপন্থিদের অসহযোগ আন্দোলন ফের শক্তিশালী হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হংকংয়ের বেইজিংপন্থি নেতারা মনে করছেন, গণতন্ত্রপন্থিদের এ আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

তিন মাস ধরে চলমান এ আন্দোলনের ইতি না ঘটায় বেইজিংপন্থি নেতাদের মাঝে বেশ হতাশা দেখা দিয়েছে। হংকং সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়ুং চান-ইং গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি এ আন্দোলনকে ‘মেনে নেওয়া অসম্ভব’ অভিহিত করে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, অকুপাই সেন্ট্রাল শুধু অবৈধই নয়, এটা একটা নিষ্ফল আন্দোলন।’ তিনি সংবাদিকদের বলেন, ‘এখন থেকে পুলিশ বাহিনী দ্বিধাহীনভাবে আইন প্রয়োগ করবে।’

তবে গণতন্ত্রপন্থি শিক্ষার্থীদের সংগঠন হংকং ফেডারেশন অব স্টুডেন্টসের এক নেতা অ্যালেক্স চোও সোমবার সকালের ওই প্রতিবাদ সমাবেশকে সফল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার সকালে সরকারের দপ্তরগুলো অচল করে দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনে এটাও একটা সফলতা।’

সকালে কর্মজীবীরা অ্যাডমিরালটি সেন্টার নামের এ এলাকাটির কর্মক্ষেত্রে আসতে শুরু করলে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এ এলাকাটিতে সরকারের বহু প্রতিষ্ঠানের দপ্তর ও অনেক খুচরা দোকানপাট আছে। পার্লামেন্ট ভবনও এ এলাকাতেই। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্রটিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়।

এ পরিস্থিতিতে হংকংয়ের সরকারি দপ্তর ও পার্লামেন্ট এবং বহু দোকানপাট সকালের দিকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। সোমবার সকালে প্রতিবাদে বিক্ষোভে আবার ফিরে আসা জেসিকা ল্যাম (২০) বলেন, ‘গত রাতের সংঘর্ষের পর অ্যাডমিরালটি এলাকার পরিবেশ অনেক অন্যরকম মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি খুব উত্তেজনাময় হয়ে আছে। এটি প্রতিবাদ শুরুর দিকে যেমন হয়েছিল সে রকম মনে হচ্ছে।’