Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পুলিশি নিপীড়নের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ

protest newyorkযুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নিপীড়নের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ করছে। সম্প্রতি পুলিশের হাতে দুজন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক নিহত হবার প্রেক্ষাপটে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াশিংটনের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ক্যাপিটাল ভবনের সামনে জড়ো হওয়া মানুষেরা ‘কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের জীবনেরও দাম আছে’ এবং ‘বর্ণবাদী পুলিশকে প্রতিহত কর’ এমন প্ল্যাকার্ড বহন করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করেন।

বিক্ষোভকারীদের অনেকে ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ বলেও স্লোগান দেন। এটি ছিল নিউ ইয়র্কে পুলিশের হাতে নিহত হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক এরিক গার্নারের মৃত্যুর আগে শেষ বাক্য। বিক্ষোভে অংশ নেয়া কমিউনিটি নেতা মার্টিন বায়েজ বলছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গ মানুষেরা সমঅধিকারের দাবিতে সমবেত হয়েছে। বায়েজ বলেছেন এখানে সমবেত মানুষেরা নিজেদের অধিকারের দাবি নিয়ে এসেছেন। আমরা এখানে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের জন্য সমান গণতন্ত্র এবং ন্যাযবিচারের দাবিতে লড়াই করছি।

chardike-ad

বেআইনিভাবে সিগারেট বিক্রির অপরাধে কাউকে হত্যা করা যায়, আপনি বলুন। এ ধরণের অন্যায় বন্ধ হতে হবে। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানান। ওয়াশিংটনের বিক্ষোভে এরিক গার্নার এবং মিজৌরিতে নিহত মাইকেল ব্রাউনের পরিবারের সদস্যরাও যোগ দেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বায়েজ আরো বলেন, যতক্ষণ পরিস্থিতি না বদলাবে, যতক্ষণ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে সম্মান না দেখাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।

ক্যাপিটাল ভবনের বাইরে সম্ভাব্য দাঙ্গা ঠেকাতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যা, এবং নিউ ইয়র্কে এরিক গার্নারকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় থেকে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্যদের আদালত অব্যাহতি প্রদান করে।

আর এর পরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

সূত্র : বিবিসি।