Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রুবেলকে বাদ দিতে হ্যাপির রিট

rubel-happy

বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ও জাতীয় দল থেকে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে বাদ দিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি।

chardike-ad

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হ্যাপির পক্ষে আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ রিট করেন।

আইনজীবী ইউনূস আলী জানান, রিট আবেদনে রুল জারি ও রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রুবেলকে জাতীয় দল ও বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল থেকে বাদ দিতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

হ্যাপির আইনজীবী ইউনূছ আলী আকন্দ আরো জানান, রিটে বাদিনী তার জীবনরক্ষায় পুলিশি নিরাপত্তা প্রদানে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

হ্যাপির মামলার তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত রুবেলের পাসপোর্ট জব্দ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, ক্রীড়াসচিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, রুবেল হোসেন, নারী শিশু নির্যাতন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৫ ও মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে গত ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন হ্যাপি।

এ মামলায় গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন ক্রিকেটার রুবেল হোসেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর নাজনীন আক্তার হ্যাপি মিরপুর থানায় গিয়ে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ করেন, নয় মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেছেন রুবেল।

হ্যাপির মামলার পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। এরই মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর রুবেল হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান। ১১ দিন পর গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে পুলিশের হাতে ফরেনসিক প্রতিবেদনের কপি তুলে দেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হাবীবুজ্জামান চৌধুরী।

ফরেনসিক প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটিতে থাকায় ওই দিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। তবে মিরপুর থানার ওসি তদন্ত মামলার নোটটি সাংবাদিকদের পড়ে শোনান। সেই নোটে লেখা ছিল, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নো ফাউন্ড রিসেন্টলি সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’

গত ২৮ ডিসেম্বর এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটি শেষে থানায় যোগদান শেষে পূর্ণাঙ্গ ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ওই রিপোর্টে হ্যাপির একাধিক শারীরিক সম্পর্কের কথা লেখা ছিল না। একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে যা ফরেনসিক প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে। তবে কার সঙ্গে হয়েছে তা লেখা ছিল না।

এরই মধ্যে হ্যাপির করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুবেলের জব্দ করা আলামতগুলোর ক্যামিক্যাল পরীক্ষার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।