Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

টাইগারদের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

bangladeshবুধবার চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সফরকারীদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মত সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় জয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই জয় দিয়ে তৃতীয়বারের মত ৯ উইকেটের জয় পেলো বাংলাদেশ। এর আগে জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জিতেছিলো বাংলাদেশ।

chardike-ad

তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ ‍উইকেটে হারলেও পরবর্তী দুই ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো টাইগাররা।

এটি বাংলাদেশের টানা চতুর্থ সিরিজ জয়। এর আগে জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। তার মধ্যে জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো টাইগাররা।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ১৭০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৬.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৬১*) ও সৌম্য সরকার (৯০) রান করেন। এছাড়া লিটন কুমার দাস ৫ রানে অরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে সৌম্যের এটি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এর আগে গত ম্যাচে ৮৮ রান করে আশরাফুলের সর্বোচ্চ ৮৭ রান অতিক্রম করেছিলেন সৌম্য।

সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবালের আজকের ১৫৪ রানের পার্টনারশীপ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যেকোনও জুটিতে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশীপ। এর আগে গত ১২ জুলাই মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৩৫ রানের জুটি করেন। এর আগে সেটিই ছিলো সর্বোচ্চ।

এর আগে প্রথমে টস জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতেই আঘাত করেন বিস্ময় বালক মুস্তাফিজ। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়র্কার ধরনের বল দিয়েছিলেন। ডি কক (৭) লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন। বল কোনাকুনি বাঁক খেয়ে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত হানে।

ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে সাকিবকে সুইপ করতে যেয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় প্লেসিসের (৬) মাথার উপর। মুশফিক ধীরে-সুস্থে তা ধরে ফেলেন।

এরপর আমলার ওপর এক প্রকার হামলা চালান সাকিব। তার বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান একবার। কিন্তু ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে আর রেহাই দেননি। মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আমলাকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০তম উইকেট শিকার করেন সাকিব। আর ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে রুশোকে কট বিহাইন্ড করেন রিয়াদ।

এদিন ২৩ ওভার খেলা হওয়ার পর চট্টগ্রামে বৃষ্টি নামে। যার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে খেলা বন্ধ থাকে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খেলা শুরু হয়। যার কারণে ওভার কমিয়ে ৪০ ওভারে আনা হয়।

রুশো ফিরে যাওয়ার পর ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনি জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়োর চেষ্টা করেন। কিন্তু বৃষ্টির পর মিলারকে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে ২০০তম উইকেট শিকার করেন মাশরাফি। মিলারের ক্যাচটি ধরেন সাব্বির রহমান।

মিলারের পর সাব্বিরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে বিহারডাইনকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। আর রাবাডাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ ওভারে কাইল অ্যাবোটকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন।ওই ওভারের শেষ বলে ডুমিনিকে (৫১) লিটন দাসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান রুবেল।

সবমিলিয়ে এদিন বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৩টি, মুস্তাফিজুর রহমান ২টি, মাশরাফি ১টি, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১টি ও রুবেল হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।