Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জন্মস্থানে চিরনিদ্রায় আবদুল কালাম

abdul-kalamভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পরমাণুবিজ্ঞানী এ.পি.জে. আবদুল কালামকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছাতেই জন্মস্থান তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন তিনি। এর আগে শ্রদ্ধা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে রামেশ্বরমে হাজির হয়েছেন হাজারো মানুষ।

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দাফনের আগে রামেশ্বরমের একটি মাঠে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো এ.পি.জে. কালামের কফিনে স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই কফিনের চারদিকে প্রদক্ষিণ করেন তিনি। এসময় সেখানে বিরোধী দল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী বিভিন্ন মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

chardike-ad

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘জনতার রাষ্ট্রপতি’ খ্যাত আবদুল কালামকে শেষ বিদায় জানাতে সারাদেশ থেকে হাজারো মানুষ রামেশ্বরমে হাজির হয়েছেন। বাস, ট্রেন, নৌযান এমনকি পায়ে হেঁটেও সেখানে হাজির হয়েছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রামেশ্বরমের পথঘাট লোকে লোকারণ্য ছিল।

জানাজার নামাজ, দাফন ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার সময় আবদুল কালামের বড় ভাই মোহাম্মদ মুথু মারাইকরসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের পরমাণু কর্মসূচির পথিকৃৎ ৮৪ বছর বয়সী আবদুল কালাম

গত সোমবার সন্ধ্যায় মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন পরমণুবিজ্ঞানী এ.পি.জে. আবদুল কালাম। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত মঙ্গলবার সকালে সামরিক বাহিনীর বিশেষ বিমানে শিলং থেকে নয়াদিল্লিতে নেওয়া হয় কালামের মরদেহ। বিমানবন্দরে তাকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানেরা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

গতকাল বুধবার সকালে রাজধানী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে কালামের মরদেহ নিয়ে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ তামিলনাড়ুতে যায়। এর আগে বিমানবন্দরে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। তামিলনাড়ুর মাদুরাই বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে রামেশ্বরমে নেওয়া হয়।

গতকাল বিকেলে রামেশ্বরম শহরের বাসস্ট্যান্ডের কাছে খোলা মাঠে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ রাখা হয়। সেখানে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ।