Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘আই এস এর চেয়েও বর্বর আমেরিকা’

deepaবিশ্বের বর্তমান ত্রাস জঙ্গিগোষ্ঠী আই এস। মুণ্ডচ্ছেদ, আত্মঘাতী হামলা, শিশুহত্যা ইত্যাদি নানা কার্যকলাপে প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে আই এস। মধ্যপ্রাচ্যের ওই জঙ্গিগোষ্ঠী কতটা নৃশংস, তা বোঝাতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রও সদা তত্‍‌পর। বিশেষ করে পশ্চিমি দুনিয়া। মোদ্দা কথা আই এসনৃশংস।

কিন্তু আই এস-এর থেকেও নির্মম ও নৃশংস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! হ্যাঁ, আমেরিকাকে আই এস-এর থেকেও নৃশংস আখ্যা দিয়ে বিতর্কে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অধ্যাপিকা। তাঁর বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে।

chardike-ad

বিতর্কের সূত্রপাত একটি টুইটার পোস্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রুটগারস ইউনিভার্সিটি-র সাংবাদিকতার অধ্যাপিকা দীপা কুমার সম্প্রতি টুইটারে #NoToWar দিয়ে পোস্ট করেছেন, ‘আই এসনৃশংস। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার চেয়েও নৃশংস। কারণ ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান মিলিয়ে মোট ১৩ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে আমেরিকা।’ রুটগারস ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অধ্যাপিকার বক্তব্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে মার্কিন মুলুকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাংশ যেমন দীপা কুমারের বক্তব্যকে সমর্থন করলেও, একটা বড় অংশ দীপার তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছে। অনেকেই দীপাকে মার্কসের আদর্শে বিশ্বাসী বলেও দাবি করছেন। যদিও দীপার দাবিকে পূর্ণ সমর্থনই জানিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব কন্ডলিজা রাইস।

এর আগেো দীপার একাধিক আন্দোলনে রাইস তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবারও সেই একই পথে হেঁটে রাইসের বক্তব্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা রয়েছে। দীপা নিজের মত প্রকাশ করতেই পারেন। এতে সমস্যার কিছু নেই।

মার্কিন বিরোধী মন্তব্য করে দীপার বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়া নতুন নয়। এর আগে ২০১২ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে কাঠগড়ায় তুলে দীপা বলেছিলেন, ৯/১১-র হামলার পর বুশ-প্রশাসনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রতি মার্কিন নাগরিকদের বিদ্বেষ ও ভয় তৈরি করছে।

বুশ প্রশাসনের নীতিতে মুসলিমদের শত্রু চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেবারও পশ্চিমি দুনিয়ায় তোলপাড় পড়ে যায় দীপার বক্তব্যে।

সুত্রঃ এই সময়