‘নাসিকা গর্জন’ এই শব্দটির সঙ্গে পরিচয় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা প্রত্যেকেই এমন কাউকে চিনি যাঁর নাক ডাকা বিখ্যাত এবং তা আমাদের কাছে একটি অন্যতম হাসির খোরাক। কিন্তু তাঁর পরিবার এবং পার্টনারের কাছে বিষয়টি যথেষ্ট বিরক্তিকর। এই বিষয়টির ওপরে আমাদের কারও হস্তক্ষেপ থাকে না। ঘুম ভাঙিয়ে আপনি তাঁকে যতই শোধরানোর চেষ্টা করুন না কেন তিনি আবার নাসিকা গর্জন করবেনই। তাই এই বিফল চেষ্টা করার কোনও মানে নেই৷
তা বলে এটা ভাবার কারণ নেই যে নাসিকা গর্জনের হাত থেকে মুক্তি নেই। মুক্তির উপায় আছে আপনার হাতেই। সে বিষয়ে যাওয়ার আগে জেনে নিন নাসিকা গর্জনের কারণ কী?
নাক ডাকার মূল কারণ হলো ঘুমোনর সময় নিঃশ্বাসের সমস্যা। ঘুমের মধ্যে প্রশ্বাস নেওয়া এবং নিঃশ্বাস ছাড়ার বারবার ব্যাহত হলেই মানুষ নাক ডাকে৷। ঘনঘন এই শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়া বন্ধ হলেই নাক থেকে বিভিন্ন ধরণের শব্দ বের হয়। আসলে শব্দটির উৎস নাক নয়, গলা৷ আমাদের গলার মধ্যে কিছু সফ্ট টিস্যু থাকে এবং কিছু পেশি থাকে। ঘুমের সময় গলার ওই পেশির সংকোচন প্রসারণ হয়। তার ফলে যদি গলার ভিতরের শ্বাসনালির পথ বারবার বন্ধ হয় এবং খোলে তখনই এই নাক থেকে শব্দ বের হয়৷। নাক ডাকার ফলে শরীরের উপরে চাপ সৃষ্টি হয় যা পরবর্তী সময়ে হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তাই নাক ডাকাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করা উচিত নয়। তাহলে নাসিকা গর্জন বন্ধ করতে কী করবেন?
শোয়ার সময় পেশিকে রিল্যাক্স করে শুতে হবে। ওজন কমাতে হবে। তাছাড়া শ্বাস প্রশ্বাসের পথকে ঠিক রাখা প্রয়োজন। এর জন্য গলার ও চোয়ালের কিছু ব্যায়াম রয়েছে। এই ব্যায়ামগুলি আপনার গলার ও চোয়ালের পেশিকে শক্তিশালী করতে পারে৷ পেশির সংকোচন প্রসারণকে সীমিত রাখতে পারে এই ব্যায়ামগুলি৷ ফলে ঘুমের সময় শ্বাস প্রশ্বাস বিঘ্নিত হয় না৷ নাসিকা গর্জনও ধীরে ধীরে কমে আসে। কখনও কখনও নাক ডাকা এতটাই ভয়ঙ্কার হতে পারে যে তাকে কমাতে গলায় অস্ত্রপচার করে সফ্ট টিস্যুর সম্পরসারণ কমাতে হয়।