Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শাহজালাল বিমানবন্দরে পন্য খালাসে চরম ভোগান্তি

airport-bangladeshহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরত যাত্রীরা চরম হয়রানির শিকার হচেছ । ডিক্লারেশন ফরম সংগ্রহ এবং তা যথাযথভাবে পূরন করে তাদের ব্যক্তিগত পুরনো ব্যবহৃত পণ্য খালাসে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্যের ভ্যালু বেশি ধরে দেয় অথচ এসব পণ্য অনেক কম মুল্যে খোলা বাজারে পাওয়া যায়। পণ্য খালাসে এলসির দোহাই দিয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ জরিমানা আদায় করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এক একটি ডিক্লারেশন ফরম সংগ্রহ করতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে ৫শ’থেকে ১ হাজার টাকা তুলে দিতে হয়। ডিক্লারেশন ফরম সংগ্রহ করে তা সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে পূরন করে কাস্টমসে পেপার জমা দেয়ার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আবার হয়রানি করতে শুরু করে, কাস্টমসের ঘাটে ঘাটে টাকা না দিলে কাস্টমস অফিসার রা পেপারসে সই করে না বরং ফেলে রাখে।

chardike-ad

খোরশেদ আলম নামের এক সৌদি ফেরত যাত্রী বলেন , আমরা দেশে আসার সময় তিনবন্ধু মিলে প্রায় ২শ কেজি পুরনো পণ্যের বুকিং দিয়ে আসি বিনামূল্যের ওই ফরম সংগ্রহ করতে আমাকে সারদিন বসে থাকার পর কাস্টমসের এক অফিসারের হাতে ৫শ টাকা দেই। তারপর আমার কপালে ডিক্লারেশন ফরম জুটে। ডিক্লারেশন ফরম পূরন করে কাস্টমসে পেপারস জমা দেয়ার পর আবার শুরু হয় হয়রানি।

পুরনো কম্বলের ভ্যালু ধরে দেয় প্রায় তিন গুন- যা খোলা বাজারে এর চেয়ে কম দামেই কেনা যায়। তিনি আরো জানান, নোয়াখালি থেকে তিনদিন বিমানবন্দরে এসেও আমি আমার পণ্য খালাস করতে পারিনি। এলসির কথা বলে যাত্রীদের পুরনো পণ্যে শতকরা ৫৩-৭৩ ভাগ জরিমানা ধরে দেয়। সিএন্ডএফ এজেন্টরা আরো অভিযোগ করেন, যাত্রীদের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত পণ্যের এলসি হয় না, অথচ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এলসির কথা বলে জরিমানাসহ ভ্যালু ধরে পণ্য খালাস করে। পুরনো কম্বলের প্রতিকেজি ভ্যালু ধরে দেয় ২৫-৩০ ডলার, খেজুরের ভ্যালু ধরে ৩ ডলার। অথচ বাজারে এর চেয়ে কম দামে এ সব পণ্য কেনা যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার ড. তাজুল ইসলাম এবং শুল্কায়ন সরূপ-৩ এর সহকারি কমিশনার সানজিদা খাতুনের সেল ফোনে বার বার কল করলেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।