Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘স্বর্ণের দাম ভরিতে কমতে পারে ১১ হাজার টাকা’

Goldলন্ডনের বাজারে গত বৃহস্পতিবার আবারও দরপতন হয়েছে স্বর্ণের। ইউরোপীয় পুঁজিবাজারে পতন ও তেলের দরপতনের মধ্যেও টানা ৯ সপ্তাহ উর্ধ্বমুখী ছিল এ বাজার। কিন্তু সেখান থেকে এদিন আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটি ১.৭ শতাংশ দর হারায়। প্যারিসভিত্তিক ফ্রেঞ্চ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বুলিয়ন ব্যাংক কোম্পানি ন্যাটিক্সিস বিজয়ী স্বর্ণ বাজার বিশেষজ্ঞ বার্নার্ড দাহদাহ মনে করেন, এ বছর স্বর্ণের দাম গত বছরের চেয়ে গড়ে ১৪ শতাংশ কম থাকবে। গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের গড় দর ছিল ১ হাজার ১৬০ মার্কিন ডলার।

এ হিসাবে এক আউন্স স্বর্ণের দাম পড়বে ৯৭০ মার্কিন ডলার। আর ভরি হিসাবে এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াবে প্রায় ৪০০ ডলার (এক আউন্স=২.৪৩ ভরি)। এমনটি হলে আজকের মুদ্রা বিনিময় হারে বাংলাদেশের বাজারে ১ ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে প্রায় ৩১ হাজার ৫০৮ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও ১১ হাজার টাকা কমে বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হবে।

chardike-ad

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি- বাজুস। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস; আর কম থাকলে দাম কমানো হয়।

সমিতির তথ্য মতে, গত বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া দেশের বাজারে ভরিতে (২২ ক্যারেট) এক হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে গ্রাহককে ৪২ হাজার ৫১৫ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ২২ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ধরা হচ্ছে ৩ হাজার ৬৪৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম ৩ হাজার ৪৬৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম ২ হাজার ৮৯৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৪৫ টাকা।

স্বর্ণের দর নিয়ে পূর্বাভাসের খবর প্রকাশ করে বুলিয়ন ভল্ট ডট কমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৫ সালে স্বর্ণের গড় দরের পূর্বাভাস নিয়ে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ব্যবসায়িক জোট সংগঠন এলবিএমএ।

তারা পূর্বাভাসের আওতা বেধে দেয় আউন্সপ্রতি ৯০০ ডলার থেকে ১ হাজার ৩০০ ডলারের মধ্যে। সেখানে দেখা যায়, বার্নার্ড দাহদাহর পূর্বাভাসটাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। দাহদাহর পূর্বাভাস ছিল, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর কমে গড়ে ১ হাজার ১৬০ ডলার বা তার কাছাকাছি থাকতে পারে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টানা ১১ বছর উর্ধ্বমুখী ছিল স্বর্ণের বাজার। ২০১২ সালে তা আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬৬৯ ডলার পর্যন্ত ওঠে। কিন্তু এর পর থেকে এই গড় দর আবারও কমতে থাকে। এ বছরকে নিয়ে টানা ৪ বছর কমতে যাচ্ছে পণ্যটির দর।

মূলত, বিশ্ব পুঁজিবাজার, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সহিংসতা ও মুদ্রা বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে গবেষণা করেই এসব পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

এ বছর স্বর্ণের বাজার কেমন হতে পারে- তা নিয়ে ভবিষ্যত বাণী দিয়েছেন আরেক বিশেষজ্ঞ সুইজারল্যান্ডের এমকেএস গ্রুপের ফ্রেডেরিক পানিজুতি। তিনি ২০১৪ সালে এলবিএমএর পুরস্কার জিতেন। ২০১৫ সালের স্বর্ণের বাজার নিয়ে তার পূর্বাভাস ছিল স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৯৫০ ডলার ভাঙ্গতে পারে। কিন্তু চলমান ভূ-রাজনৈতিক সহিংসতায় তার এ পূর্বাভাস দমড়ে মুচড়ে যায়। এ বছর স্বর্ণের দাম ১২১০ ডলার পর্যন্ত বেড়ে গড় দাম ১১২০ ডলার থাকবে বলে পূর্বাভাস দেন তিনি।(অর্থসূচক)