Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদির রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন ২০০ বাংলাদেশি

সৌদি আরবের বাণিজ্যিক রাজধানী জেদ্দার একটি স্থানে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অন্তত ২০০ বাংলাদেশি। জেদ্দা শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে হারাজাত নামক স্থানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

chardike-ad

গত ১০ দিন ধরে এভাবে অনাহারে রাস্তার পাশে দিন-রাত কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। এরই মধ্যে তাঁদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ওই প্রবাসীদের অনেকেই দেশ থেকে ফসলের জমি, স্বর্ণ এমনকি ভিটে-মাটি বিক্রি করে ভাগ্য ফেরানোর জন্য এসেছেন সৌদি আরবে। কিন্তু এখানে এসে পড়েছেন অসাধু দালাল চক্রের খপ্পরে।

এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন জেদ্দার আল খোদরি ক্লিনিং কোম্পানির মাধ্যমে সৌদি যাওয়া অনেক বাংলাদেশি। তাঁরা এখন সৌদি আরবে কাজ না পেয়ে অনাহারে রাস্তায় থাকছেন। প্রচণ্ড গরমে সেখানেই থাকছেন, ঘুমাচ্ছেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, আবু তাহের, আলী ও আজাদ নামের দালালদের মাধ্যমে সৌদি আরবে আসেন তাঁরা। তাঁদের অনেককে সৌদি আসার জন্য সাত থেকে আট লাখ টাকা করে খরচ করতে হয়েছে। দালালদের মাধ্যমে তাঁরা আল খোদরি কোম্পানিতে ক্লিনিংয়ের কাজে নিয়োজিত হন। কিন্তু ১০-১১ মাস ধরে তাঁদের কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। তাঁদের কর্মসংস্থানও ত্যাগ করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল খোদরি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, তাঁদের কোম্পানির লোকজন এখন বেকার রয়েছেন। তাই সাপ্লাই কোম্পানির পাওনা পরিশোধ করে তাঁদের নিজের কোম্পানিতে ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আল খোদরি কোম্পানি তাঁদের পাওনা পরিশোধ করেছে। কিন্তু সাপ্লাই কোম্পানির দালালরা শ্রমিকদের বেতন ও খাওয়া-দাওয়ার খরচ না দিয়ে মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন।

এই ব্যাপারে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলে অভিযোগ করা হয়। সেখান থেকে জানানো হয়, শ্রমিকদের এই সমস্যার বিষয়ে এর আগে তাঁদের কেউ অভিযোগ দেয়নি। এখন তাঁরা অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। ওই অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একজন কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক নিয়োগ করা হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে তাঁদের আইনি পরামর্শ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।