উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের বিরুদ্ধে এবার চরমপন্থা গ্রহণ করতে চলেছে প্রতিবেশী ও চিরশত্রু দক্ষিণ কোরিয়া। কিমের শিরশ্ছেদ করতে এক বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী গঠন করেছে সিউল। ওই বাহিনী রাতের অন্ধকারে কিমের শিরশ্ছেদ করে আনবে। সেই লক্ষ্য সফল না হলে অন্তত পিয়ংইয়ংয়ে ঢুকে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি চালিয়ে ফিরে আসবে। অনেকটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কায়দায়।
সরকারিভাবে এই কথা অবশ্য সিউল স্বীকার করতে রাজি নয়। যদিও সেটাই দস্তুর। কোনও দেশই তাদের গোপন বাহিনী সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনে না। তবে সূত্রের খবর, এই বাহিনীর আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পার্টান ৩০০০’। এই প্রথম নয় অবশ্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতৃত্বকে নিকেশ করতে গুপ্তচর পাঠিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ৬০-এর দশকের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়ার কমান্ডোরা যখন সিউলের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে হামলার ছক কষে, তখন পালটা কয়েকজন চরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিম ইল সাংয়ের গলা কাটার জন্য পাঠায় উত্তর কোরিয়া। যদিও তাদের সেই ছক সফল হয়নি।
আর এবার সেই কিমের নাতি কিম জং উনকে হত্যার ছক কষতে হচ্ছে সিউলকে। কারণ, কিম যেভাবে প্রায় প্রতিদিনই সিউলকে টার্গেট করে মিসাইল ছুড়ছেন, তাতে বিশেষ আশঙ্কিত সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তাই অবিলম্বে খ্যাপা কিমকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে তৎপর সিউল। উত্তর কোরিয়া যেদিন তাদের ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমাটি পরীক্ষা করে, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সং ইয়াং মু এই বিশেষ বাহিনী গঠনের নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হুকুম তামিল হয়। অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, অস্ত্রশস্ত্র ও প্রযুক্তিতে বলীয়ান এই বাহিনী এখন সীমান্ত পেরনোর নির্দেশের অপেক্ষায়।






































