অভিনয়শিল্পী হিসেবেই সারাদেশে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। একই সঙ্গে পেশাগতভাবে যুক্ত আছেন চিকিৎসক হিসেবেও। তিনি ডা. এজাজ। দেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা ও চিকিৎসক।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের এই জনপ্রিয় অভিনেতা। ডা. এজাজ বলেন, চিকিৎসক হিসেবে ব্যস্ততা তো আগে থেকেই ছিল। এখন নতুন দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ততা আরেকটু বেড়েছে। সবাই আমাকে অভিনয়শিল্পী হিসেবে ভালোবাসেন। এই ব্যস্ততার মাঝেও যখনই সময় বের করতে পারবো অভিনয় করবো। একই সঙ্গে চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্বও ঠিকভাবে পালন করে যাবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
নির্মাতা অনিমেষ আইচ অভিনেতা এজাজকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে লিখেন, ডা. ইজাজ। হেড অব ডিপার্টমেন্ট, নিউক্লিয়ার মেডিসিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ। দেশের মানুষের কাছে তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেতা পাশাপাশি একজন সুচিকিৎসক। সম্প্রতি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হয়েছেন, অবশ্যই এটি আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের।
এই নির্মাতা আরো লিখেন, কিন্তু এ নিয়ে কোনো সংবাদ দেখলাম না পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলে। অথচ কার সঙ্গে কার ডিভোর্স হলো, কার সুন্দরী হওয়ার নেপথ্য ইতিহাস কি? এ নিয়ে জাতির মাথা-ব্যথার অন্ত নাই। মিডিয়ার মানুষদের বিজয়ের গল্পও সাধারণ মানুষদের জানা দরকার। এ ইতিহাস কেবল কিছু বিভ্রান্তির গল্পে সীমাবদ্ধ নয়। অভিনন্দন এজাজ ভাই।
ডা. এজাজুল ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
নন্দিত সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে মিডিয়ায় অভিনয় শুরু করেন এজাজ। সাবলীল অভিনয় নৈপুণ্যে তিনি নজর কেড়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রের জন্য।