উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম ইস্যুতে সৃষ্ট সংকটের বিপরীতে ব্রিটিশ সরকার তার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ খবর জানিয়েছে।
পিয়ংইয়ংকে দমানোর জন্য সামরিক পদক্ষেপ ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পর ব্রিটিশ সরকারের সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণের খবর জানাল ডেইলি মেইল। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানায়, যুক্তরাজ্যের বিমানবাহী নতুন রণতরী এইচএমএস কুইন এলিজাবেথকেও এ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কাজে লাগানো হতে পারে। ওই সূত্র বলে, ‘আমরা বেশ কিছু জাহাজ পাঠাব—টাইপ-৪৫ রণতরী, টাইপ-২৩ ফ্রিগেটস। তেমন কিছু ঘটলে ব্রিটেনের বিমানবাহী নতুন রণতরীটিও কাজে লাগানো হতে পারে।’
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন গত মাসে বলেছিলেন, ‘বেপরোয়া উত্তর কোরিয়া এবং ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠতে থাকা রাশিয়ার দিক থেকে পারমাণবিক বিপদটা আজ তীব্রতর হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর বিপদ প্রতিহত করার জন্য পরামাণু অস্ত্র ছাড়া আর কোনো রাস্তা থাকছে না। তাতে আগ্রাসকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাবে, হামলা করলে লাভের চেয়ে পরবর্তী ফলাফলটা অনেক বেশি গুরুতর হবে। ’
পশ্চিমা বিশ্বের নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ পর্যন্ত ছয়টি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া, চলছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কার্যক্রমও। এসবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম দ্বীপে পিয়ংইয়ং হামলার হুমকি দিলে কূটনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব না হলে যুক্তরাষ্ট্র অচিরেই সামরিক পদক্ষেপের দিকে যাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। এ জটিলতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বন্ধু ব্রিটেনের সামরিক প্রস্তুতির খবর এলো। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট।