Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাকিবদের লক্ষ্য ১৯৬ রান

shakibদুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টিতে সফরকারী বাংলাদেশকে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এই রান সংগ্রহ করতে তাদের হারাতে হয়েছে ৪টি উইকেট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে অধিনায়ক জেপি ডুমিনি ও তার দল।

দলের হয়ে ৪৪ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। আর বিস্ফোরক ডি ভিলিয়ার্স ফিরেছেন ২৭ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে খেলে।

chardike-ad

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে দ. আফ্রিকা।

তবে ব্যটে নামাটা স্বাগতিকদের খুব বেশি সুখকর হয়নি। কেননা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মিরাজ আঘাতে ক্রিজছাড়া হয়েছেন, হাশিম আমলা। দ্বিতীয় ওভারে মিরাজের শেষ বলটি আমলা অফ সাইডে খেলতে গেলে তা গিয়ে তার স্ট্যাম্পে আঘাত হানলে ব্যক্তিগত ৩ ও দলীয় ১৮ রানে রানে ক্রিজ ছাড়া হন, এই প্রোটিয়া ওপেনার।

দলীয় ১৮ রানে ও ব্যক্তিগত ৩ রানে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ বাংলাদেশ শিবিরকে আশা দেখালেও সেই আশায় পানি ঢেলে দেন দুই প্রোটিয়া টপ অর্ডার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুইন্টন ডি কক।

তাদের ব্যাটে ভর করে আমলাকে হারানোর বিপত্তি কাটিয়ে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই দুই টপ অর্ডার যখন দলকে যখন বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আবার আঘাত হানলেন, মিরাজ।

তার হানা দ্বিতীয় আঘাতে রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে, ক্রিজ ছাড়া হন বিষ্ফোরক ডি ভিলিয়ার্স। এই রান সংগ্রহ করতে তিনি খেলেছেন, ২৭টি বল। যেখানে ৮টিই চারের মার ছিল।

ভিলিয়ার্সকে হারালেও ব্যাটিং আগ্রাসন এতটুকুও কমছিল না দ. আফ্রিকার। সফরকারী বোলারদের উপর রীতিমত স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ডুমিনি ও ডি কক। তবে খুব বেশিক্ষণ এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি প্রোটিয়া শিবির।

১৩তম ওভারের শেষ বলে সাকিবের কুশলী ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ১৩ রান ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, অধিনায়ক ডুমিনি।
সাকিবের পর ডুমিনিদের সাজানো ঘরে তোপ চালালেন রুবেল হোসেন। তাতে কাজও হলো বিস্তর। ১৫তম ওভারে তার একেবারে শেষ বলে ব্যক্তিগত ৫৯ রানে এলবি’র ফাঁদে পড়ে ক্রিজ ছাড়া হন, ওপেনার কুইন্টন ডি কক।

আর এই রান সংগ্রহ করতে তিনি খেলেছেন, ৪৪টি বল। যেখানে চারের মার ৫টি ও ছ’র মার ছিল ১টি। এরপর অবশ্য আর বিপত্তি ঘটেনি। ডেভিড মিলার (২৫ রান ) ও বেহারডিয়েনের (৩৬ রান) ব্যাটে ভর করে ২০ ওভারে ১৯৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দ. আফ্রিকা।