Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ চীনা প্রেসিডেন্টের

chinese-president-with-soldierক্ষমতায় আসার সেকেন্ড ইনিংসের শুরুতেই আরো বেশি করে আক্রমণাত্মক হলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক জিনপিং ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ) বা লালফৌজকে স্পষ্ট জানালেন, যেকোনো সময় যুদ্ধ বাধতে পারে। সেজন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস করা হবে না।

চীনের সরকারি টিভি চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে (সিসিটিভি) লালফৌজের সর্বাধিনায়ক বলেছেন, স্নায়ু টান টান করে সজাগ থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে। দুনিয়াকে বুঝিয়ে দিতে হবে ২৩ লাখ সেনা সদস্য নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনী লালফৌজ সবথেকে সেরা। তাই যেকোনো যুদ্ধ দ্রুত কীভাবে জেতা যায় সেদিকে মনোযোগ রাখুক লালফৌজ। একুশ শতকে বিশ্বকে শাসন করুক চীনের অত্যাধুনিক লালফৌজ। এটাই চান চীনারা। দ্বিতীয় বারের জন্য পাঁচ বছরের মেয়াদে চীনের তখতে বসেছেন দিন কয়েক আগে৷ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধজয়ের ব্লু প্রিন্ট তৈরির প্রক্রিয়া৷ চূড়ান্ত লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। অত্যাধুনিক যুদ্ধকৌশল দ্রুত রপ্ত করতেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং৷

chardike-ad

বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর চিনা সেনার কাছে যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতির স্পষ্ট নির্দেশ পৌঁছে দিয়েছেন জিনপিং। জিনপিং বলেছেন, অত্যাধুনিক যুদ্ধরীতি মহড়ার পাশাপাশি, দীর্ঘ প্রশিক্ষণের ওপরেও জোর দিক সেনাবাহিনী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় শক্তিশালী রাডার বিশিষ্ট মার্কিন থাড (টার্মিনাল হাই অল্টিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার মোকাবিলা করতেই চীনের এই উদ্যোগ। বাহিনীর ভেতর থেকেই তৈরি করা হয়েছে ৮৪টি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সেনা ইউনিট। উপগ্রহ ও সুপার কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ইউনিটগুলি যুদ্ধ করবে।

গত ডিসেম্বর মাসে এক বৈঠকে লাল ফৌজের আকার ছোট করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। সেই মতোই অনেক কাটছাঁট করা হয়েছে চীনা সেনাবাহিনীতে৷ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীকে আরো দক্ষ ও আগ্রাসী করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন জিনপিং। সদ্যসমাপ্ত পার্টি কংগ্রেসে পার্টির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ক্ষমতায়ন করা হয় জিনপিংয়ের। তিনি পার্টি ও পার্টির অনুগত সেনাবাহিনীর একক সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারী।

দক্ষিণ চীন সাগর, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবোর), সীমান্ত সমস্যা এবং উত্তর কোরিয়া-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে চিন এখন ভারত, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। অনেক দিন আগেই লাগাতার সামরিক মহড়ার মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে লালফৌজকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে বলাটা ইঙ্গিতবাহী।