‘যদি-কিন্তু’র গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন ‘কখন’ সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে তা নিয়েই চিন্তিত সিঙ্গাপুর প্রশাসন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপিন্সে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা জেরায় স্বীকার করেছে, সিঙ্গাপুরে হামলার ছক কষেছিল তারা।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুরে সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। একদিকে দেশের মধ্যেই সন্ত্রাসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন মাথাচাড়া দিচ্ছে। তার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র বিভিন্ন সংগঠনের টার্গেটও এ মুহূর্তে সিঙ্গাপুর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ১৯৯০-এর দশক থেকেই সিঙ্গাপুরকে সন্ত্রাসবাদীরা টার্গেট করেছিল, কিন্তু সেনাবাহিনীর তৎপরতার জন্য তা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি দক্ষিণ ফিলিপিন্সের একটি গোটা শহরকে কিছু দিনের জন্য দখল করেছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। তার পর থেকেই দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
২০১৭-র টেররিজম অ্যান্ড পলিটিকাল ভায়োলেন্স ক্যাটেগরিতে ‘নেগলিজিবল’ থেকে এই প্রথমবার ‘লো রিস্ক’ ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে সিঙ্গাপুরকে। গোয়েন্দা রিপোর্টও বলছে, এ মুহূর্তে আইএস ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অন্যতম টার্গেট সিঙ্গাপুর। এর পর থেকে রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে শপিং মল, বিভিন্ন জনবহুল স্থানে পুলিশ এবং সেনার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বড় স্ক্রিনে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হামলার ব্যাপারে জনগণকে সতর্কও করা হচ্ছে। যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক কোনো বস্তু বা ব্যক্তি সম্পর্কে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধও করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি