Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালিন্দো এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে যাত্রীর মাতলামি

malindo-airwaysকখনও সিট থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছেন, কখনও বিজনেস ক্লাসে আবার কখনও ককপিটের দরজার সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন। হঠাৎ চিৎকার করে ক্রুদের ডাকছেন। সামনে এলে বকাঝকা করছেন। একপর্যায়ে বিমানের এপাশ থেকে ওপাশে হাঁটাহাঁটি। মালিন্দো এয়ারওয়েজের ৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইটে নারী ক্রুর সঙ্গে এমন ‘অদ্ভুত’ আচরণ করেছেন এক যাত্রী। এতে ফ্লাইটের যাত্রীরা প্রথমে বিরক্ত হলেও পরে আতঙ্কগ্রস্ত হন।

ঘটনাটি শনিবার রাতে মালিন্দো এয়ারওয়েজের ফ্লাইট নম্বর ওডি-১৬২ এর ভেতর ঘটে। কুয়ালালামপুর থেকে স্থানীয় সময় ১০টায় রওনা হয়ে ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে ফ্লাইটটি ।

chardike-ad

ঢাকায় নেমে দিদার আলী মাহমুদ (১৯) নামের ওই যাত্রীকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে সোপর্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিমানবন্দরের থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদ জানান, দিদার আলী মাহমুদ উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। রাতে ফ্লাইটে ওঠার পর দিদার মদ্যপান করে একজন নারী এয়ার ক্রু’র সঙ্গে অসাধু, হিংস্র ও অশ্লীল আচরণ করেন। বিমানটি বোর্ডিং ব্রিজে অবস্থান করলে তাকে প্রথমে এপিবিএন এবং পরে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ওই ফ্লাইটের একজন চীনা যাত্রী জানান, বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমাদের সামনে নারী ক্রু’র সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি, অসদাচরণ ও অশ্লীল কথাবার্তা বলছিলেন। আমিসহ ফ্লাইটের যাত্রীরা এতে খুব বিরক্ত হই এবং ভয় পেয়ে যাই।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘তাকে (ওই যাত্রীকে) প্রসিকিউশন দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন উল্লেখ করে হাসপাতালে পাঠায়।’

মালিন্দো এয়ারের স্টেশন ম্যানেজার প্রদীপ কুমার বলেন, ‘ফ্লাইটে কেবিন ক্রুর সঙ্গে অসদাচরণের করায় তাকে ফ্লাইটের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়। ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছালে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।’

নিজেদের ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে মালিন্দো এয়ার জানায়, ‘ফ্লাইটে যে কোনো ধরনের বিপর্যয় (অপ্রীতিকর ঘটনা) এড়াতে এবং যাত্রীদের বিরক্ত করা থেকে বিরত রাখতে কেভিন ক্রু’রা ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর ওই যাত্রীকে ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

জাগো নিউজ এর সৌজন্যে