Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নিহত রাজীবের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চান অনন্ত জলিল

anantaদুই বাসের চাপায় হাত হারানোর পর মারা যাওয়া কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের অসহায় দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চান চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা অনন্ত জলিল। ওমরাহ পালনরত অনন্ত জলিল মঙ্গলবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

ফেসবুকে অনন্ত জলিল লিখেছেন- ‘বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম। আজকের দিনে আল্লাহতায়াল তার সুন্দর ধরণী আর সুন্দর সুন্দর সৃষ্টির মাঝে আমাকে পাঠিয়েছেন। আজ আমার জন্মদিন, তাই শুকুর আলহামদুলিল্লাহ। রাব্বুল আলআমিনের নিকট আমি কৃতজ্ঞ। এ কারণে যে, এমন আনন্দের দিনে তিনি আমাকে সপরিবারে মক্কায় অবস্থান করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

chardike-ad

তবে মন খারাপ আরেক কারণে, সকালে দেশের অধিক জনপ্রিয় দৈনিক খবরের কাগজ প্রথম আলোর একটি সংবাদ দেখে। কিছু দিন আগে বাস দুর্ঘটনায় রাজীব নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার হাত হারিয়ে ছিলেন। এবং আজ তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, যা আমাকে বেশ মর্মাহত করেছে। বাবা-মা হারা এই সন্তান তার ছোট দুই ভাইকে পিতামাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিল। কিন্তু রাজীবের অকাল বিদায়ে তার দুই ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে।

তাই আমার জন্মদিনে আমি চাচ্ছি যে, পরিবারহারা এ দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে। আশা করি জনপ্রিয় দৈনিক আলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আমাকে রাজীবের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে এবং তাদের খোঁজ পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনযাপনের জন্য সাহায্য করবেন। খোদা হাফেজ।’

গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে গা ঘেঁষে অতিক্রম করতে থাকে।

এ সময় দুই বাসের চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি। পরে তাকে ঢামেকের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সাময়িক উন্নতির পর গত সোমবার থেকে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এর পর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। সোমবার রাতে রাজীব চলে যান না ফেরার দেশে।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে। তার ছোট দুই ভাই আছে, যাদের দেখাশোনা করতেন রাজীব। তারা রাজধানীর একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।