Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mukto-moniবিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণি আর নেই (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। বুধবার সকালে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মুক্তামণি না ফেরার দেশে চলে গেছে।

মুক্তামণির নানা ফকির আহমেদ বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের নিজ বাড়িতে মুক্তমণির মৃত্যু হয়।

chardike-ad

গত ২০১৭ সালের ১০ জুলাই তাকে ঢাকায় ভর্তি করার পর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও ডা. সামন্তলাল সেনের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ছয় মাস ধরে তাকে চিকিৎসা দেয়। এ সময় তার দেহে কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসায় তার স্বাস্থ্যের আশানুরুপ উন্নতি হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মুক্তামণির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তিনি সরকারি খরচে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে ঢাকায় টানা ছয় মাস চিকিৎসা শেষে এক মাসের ছুটিতে মুক্তামণি ২০১৭ এর ২২ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে যায়। এর পর থেকে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা চলতে থাকে। এরই মধ্যে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।

মুক্তামনির বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহিম হোসেন জানান, জন্মের দেড় বছর পর (বর্তমানে ১৩ বছর) মুক্তামণির দেহে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি।

তার আক্রান্ত হাতটি গাছের গুড়ির আকার ধারন করে প্রচণ্ড ভারি হয়ে ওঠে। এতে পচন ধরে। পোকাও জন্মায়। দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকতো মুক্তামণি। বিকট দুর্গন্ধের কারণে তার বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ও পড়শিদের যাতায়াতও এক রকম বন্ধ হয়ে যায়।