পরমাণু কর্মসূচিতে ‘বিশ্ব মোড়ল’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেষারেষি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছে ইরান। তেহরানে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শনিবার এ পরিকল্পনার কথা বলেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আহাদি বিদেশি। সামরিক বাহিনীর ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানো, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান এবং দূরপাল্লার নৌযান ও সাবমেরিন কেনা এ মন্ত্রণালয়ের নতুন পরিকল্পনার অংশ বলে জানান আহাদি। খবর আল জাজিরার।
আগের দিন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ভবিষ্যৎ, এর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডার এবং আঞ্চলিক সংঘাত নিয়ে ফ্রান্স আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা নাকচ করে দেয় ইরান। এর একদিন পরেই সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা দিল তেহরান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে দেশটির ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। এরপর থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ ফ্রান্স, জার্মানি সেটি রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
আগে এ সপ্তাহেই, ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য দেশটির আইনজীবীরা আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানান। এসব অবরোধে দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৫ সালে স্বাক্ষরিত একটি মৈত্রী চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে এবং এর ফলে ইরানের দুর্বল অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। আহাদি তার ভাষণে বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের তার দেশের অস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ব্যাহত হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে এবং এখন দরকার হল গবেষণা ও উন্নয়ন করা। একই সঙ্গে দেশটির অতি উন্নত বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা ও ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা হাজার হাজার ছাত্রের ওপর নির্ভর করে প্রতিরক্ষা খাতকে উন্নত করতে হবে।’ আহাদি এ সময় সিরিয়ায় ইরানের ভূমিকার পক্ষেও যুক্তি দিয়ে বলেন, সশস্ত্র আইএস দলকে পরাজিত করতে এটা দরকার ছিল। ‘ইরান ও তার মিত্ররা আইএসকে না থামালে আজকে ওই অঞ্চলের মানচিত্র ভিন্ন হতো,’ বলেন তিনি।