Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

japanপ্রবাসে কর্মময় জীবনে দেশের মতো করে সব অনুষ্ঠান পালন করার সুযোগ হয়ে উঠে না। ক্লান্তি দূর করতে প্রতিনিয়তই প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে জাপানের মাটিতে কিছু না কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এসব অনুষ্ঠানে ভাবিদের উপস্থিতি থাকে চোখেপড়ার মতো। তাদের তৈরি পিঠা খেয়েই প্রবাসীদের দিনটি কেটেছে। এছাড়া মজাদার বিভিন্ন খাবারের আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি জাপানের আশিকাগা সিটিতে সুইয়ামা লুবনার উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন দেশি পিঠা, যেমন- পাটি সাপটা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা ইত্যাদি। এছাড়া গরু ভুনা, রোস্ট, চিকেন কোরমা, মাছের চপ, সালাদ ও পোলাও। বিশেষ মেন্যুর মধ্যে ছিল বেগুন ভর্তা, খুরী ভর্তা ও চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা। নাস্তার মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, অন্তন, চটপটি, কালোজাম, সন্দেশ,পুডিং, ও সেমাই।

chardike-ad

অনুষ্ঠানে সুইয়ামা লুবনাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন সুমনা, চম্পা, ববি, শান্তা, নোমান সৈয়দ, সোহাগ রহমান, লুতফুর শোভন, রায়হান কবির, বেলাল, বাবুল ও সাজ্জাদ। জাপানের বিভিন্ন শহরের ৫৫টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন সদস্য এই পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেন। ঈদ পুনর্মিলনীটি জাপানের কানতো অঞ্চলের বাঙালির এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। নারীদের পরনে ছিল রঙ বেরঙের শাড়ি ও পুরুষদের পরনে ছিল বাঙালির প্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি।

সোনামনি মিমমুনের কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে সুইয়ামা লুবনার উপস্থাপনায় আরম্ভ হয় দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ছিল সোনাদের বিভিন্ন ধরনের পারফর্মেন্স ও যেমন খুশি তেমন সাজ, একক সঙ্গীত, দ্বৈত সঙ্গীত, কৌতুক, আবৃত্তি ও নাটক।

japan

ছোট্ট সোনা মনিদের পারফর্মেন্সের মধ্যে দর্শকদের মন জয় করে নেয় সোরা সানজিদা ‘বাংলাদেশের মেয়ে’ গানের সঙ্গে নাচ, জেসিয়া বিনতে জালালের কবিতা (কাজী নজরুল ইসলামের’ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’), সায়ানের এরাবিক সুরা, মির্জা সাহাবির সুরা ফাতেহা পাঠ ও সুরা ফাতেহার ইংলিশে তরজমা।

এছাড়া আলি জারিয়াত মো. জামির ছড়া (কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমি যদি বাবা হতাম’) ও নিষাদ হায়দার লামিয়ার হিন্দি গান’ ছাম ছাম ছামের’ সঙ্গে নাচ। ছোট্ট সোনা মনিদের জন্য ছিল বিশেষ পুরুস্কার। শিশুদের হাতে পুরস্কারগুলো তুলে দেন জাপান আর্ট ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা উপস্থাপক ও শিল্পী তানিয়া মিথুন এবং শান্তি নিকেতন থেকে রবীন্দ্র সংগীতের ওপর ডিপ্লোমা করা শাম্মি বাবলি।

বড়দের পারফরমেন্সের মধ্যে খন্দকার তোমকর ‘আমি বাংলার গান গাই’ সবার হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায়। তানিয়া মিথুনের মধুর কণ্ঠে লোক সঙ্গীত সবাইকে মুগ্ধ করে। পুনর্মিলনীর অন্যতম আকর্ষণ ছিল ঈদ ফ্যাশন শো প্রতিযোগিতা। ফ্যাশন শোতে ছিল চারটি বিভাগ। প্রতিটি বিভাগের জন্য ছিল আলাদা আলাদা নম্বর। ফ্যাশন শোর বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন টোকিও বৈশাখী মেলার সমন্বয়কারী মো. আসলাম খন্দকার হিরা, তানিয়া মিথুন ও শাম্মি বাবলি।

প্রতিযোগিতায় বিচারকদের রায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন পূজা। প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার নির্বাচিত হন চম্পা ও সুমনা। তিনজন বিচারক বিজয়ীদের মধ্যে মুকুট ও ট্রফি তুলে দেন।

জাপানের জনপ্রিয় বিংগো গেইমের আকর্ষণীয় পাঁচটি জিতে নেন দিপা, মৌ, মাসুমা, রোজিনা ও রেণু। উৎসবে সবার পক্ষ হতে এত চমৎকার একটি আয়োজনের জন্য সুইয়ামা লুবনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং ভবিষ্যতে ও এই ধরনের আয়োজনের অনুরোধ করেন জালাল জাবেদ। অনুষ্ঠান শেষে সুইয়ামা লুবনা দূর-দূরান্ত থেকে ঈদ পুনর্মিলনীর অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ