Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ১৬ জন নিহত

murderভোটের দিন নির্বাচনী সহিংসতায় সারাদেশে বিভিন্ন স্থান থেকে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে আনসার সদস্যসহ সরকার সমর্থক, বিরোধী দলের সদস্য ও সাধারণ মানুষও রয়েছেন।

কুমিল্লা: কুমিল্লার চান্দিনায় মুজিব (৩৫) নামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক সমর্থক গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করার সময় সময় গুলি চালালে সে নিহত হয়।

chardike-ad

কুমিল্লা-৭ আসনে পশ্চিম বেলাশ্বর ভোটকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলডিপি প্রার্থী জানান নিহত ব্যক্তি ঐক্যফ্রন্টের সমর্থক। চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা-১০ আসনের মুরগাঁ ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় বাচ্চু মিয়াঁ (৪৫) নামে বিএনপির এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহত হওয়ার কথা তিনি নিশ্চিত করেননি।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ‘মোমবাতি’ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৮ বছর বয়সী আবু সাদেক নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তবে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জাতীয় পার্টির সমর্থক আহমেদ কবীর (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলেছে, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

রাজশাহী: রাজশাহী-৩ আসনের মোহনপুরে পাকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগ সমর্থক মেরাজুদ্দিন (২২) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহী-১ আসনে মোহাম্মদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে দুপুর ১২টার দিকে মোহাম্মদ মোদাছসের (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা যান।

দিনাজপুর: দিনাজপুর-২ আসনে শহরগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনায় একজন সাধারণ ভোটার নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম কিনা মোহাম্মদ (৬৫)। তিনি হার্ট এটাকে মারা গেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির কাউখালি উপজেলায় একটি ভোটকেন্দ্রে সকালে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম মো বসির উদ্দিন (৩২)। কাউখালী থনার ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার: কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

বগুড়া: বগুড়া ৪ আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপি সংঘর্ষে আজিজুল হক (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। কাহালু থনার ওসি শওকত কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালী: নোয়াখালী-৩ আসনে তুলাতুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবিরের হামলায় এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন নিহতের নাম নুরুন্নবী। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে সংঘর্ষের সময় তিনি নিহত হন।

নরসিংদী: নরসিংদী-৩ আসনে কুন্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর মো. মিলন নামের আওয়ামী লীগের একজন পোলিং এজেন্টকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাহবুব মৃধা এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর: গাজীপুরের সদর উপজেলার হরিনাল উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিয়াকত আলী (৪৪) নামের সাবেক ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। গাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমীর সুত্রধর জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

নাটোর: নাটোর-২ আসনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার সঙ্গে মারামারিতে হোসেন আলী (৪৮) নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল-২ আসনের হরিদাখুলশী গ্রামে আজ সকালে একটি ক্ষেতের পাশে বিএনপি নেতা হাজী আব্দুল আজিজ (৬৫)-এর লাশ পাওয়া যায়। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন আব্দুল আজিজ। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসরাইল মিয়া (২০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখলে নেওয়ার চেষ্টা এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর উপর হামলা করে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়লে একজন গুলিবিদ্ধ হন।

সৌজন্যে- দ্য ডেইলি স্টার