Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মসজিদে হামলা : নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড়ের ইসলাম গ্রহণ

islam-newzealandনিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় অর্ধশত মুসল্লি নিহত হওয়ার পরের শুক্রবার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন দেশটির তারকা রাগবি খোলোয়ার সনি বিল উইলিয়ামস। দেশটির আরেক রাগবি খেলোয়ার ও সনি বিলের বন্ধু ওফা তুঙ্গাফাসি এবার ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মসজিদে হামলায় আহতদের দেখতে গিয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন হন ওফা তুঙ্গাফাসি। একই দিনে তার বন্ধু সনি বিল উইলিয়ামসের মা ইসলাম গ্রহণ করেন।

chardike-ad

ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ওফা তুঙ্গাফাসি বলেন, ‘হাসপাতালে মুসলিম ভাইদের দেখার অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। আমি তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি মোহাম্মদ (সা.) ও আল্লাহকে বিশ্বাস করেছি।’

জিম্বাবুয়ের এক মসজিদের ইমাম সাজিদ মঙ্গলবার টুইট বার্তায় বলেন, ‘সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য। আমাদের ভাই সনি বিল উইলিয়ামসের মা ও তার বন্ধু ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আমি দূরে থাকলেও সত্যি আমার ভাইয়ের জন্য সন্তুষ্ট। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন।’

ব্রিটিশ জাজ কণ্ঠশিল্পী জন ফন্টেইন টুইটারে লিখেন, ‘আল্লাহু আকবার। আজ ওফা তুঙ্গাফাসি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাদের পক্ষে এটিকে সহজ করে দিন এবং তাদের জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।’

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে মর্মান্তিক ও নৃশংস হামলার পর রাগবি খেলোয়াড় ওফা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জানার চেষ্টা করে আসছিলেন। সেই সূত্রেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন।

সনি বিল উইলিয়ামস শুধু মুসলিমই নন তিনি নিউজিল্যান্ড রাগবি ইউনিয়ন দলে খেলা প্রথম মুসলিম। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় দুইবার রাগবি বিশ্বকাপও জেতেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সনি বিল উইলিয়ামস।

গত ১৫ মার্চ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের অনুসারী ব্রেনটন ট্যরান্টের বন্দুক হামলায় ৫০ জন প্রাণ হারান। আহত হয় আরও বহু মানুষ। যাদের অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আল নুর ও লিনউড মসজিদে বন্দুকধারী ট্যারান্টের নৃশংস হামলার পর শোকের ছায়া নেমে আসে নিউজিল্যান্ডে। হামলার পর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন দিনটিকে দেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন।