রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরবে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফ্রিতে নাগরিকত্ব দিতে বাদশাহ সালমানের নির্দেশ! শিরোনামে এমনই এক নিউজ প্রকাশ করেছে ‘দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন ডটকম’। তাদের সর্বশেষ আপডেটে জানা যায়, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফ্রি নাগরিত্ব দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। সৌদি আরব সরকার রোহিঙ্গা অভিবাসীদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো ফ্রি ছাড়াই বিনামূল্যে ইকামাসহ সরবরাহ করবে।
বাদশাহ সালমান আরও ঘোষণা করেন যে, মিয়ানমারের ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) লোককে ইকামা প্রদান করবে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বাদশা সালমানের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্য জাতিসংঘ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বলেও জানা যায়।
এখনও মিয়ানমারের রাখাইনে বৌদ্ধদের সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলিমদের দ্বন্দ্ব আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের মতো মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধদের দ্বারা নির্যাতিত ও গণহত্যার শিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্মম হত্যাসহ বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম ভাইরাল হয়ে যায়।
রাখাইনের বৌদ্ধ ও সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে শুধু গত ২ বছরে বাংলাদেশে প্রবেশে করেছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে এসব নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম।
গত ৭০ বছর যাবত অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম সৌদি আরবে বসবাস করে আসছে। সৌদি আরবে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিনামূল্যে ইকামা প্রদান নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ।
সৌদি আরবে বসবাসের জন্য সে দেশের নাগরিকসহ সব অভিবাসীরই ইকামা প্রয়োজন হয়। ইকামা ছাড়া কেউ-ই সেখানে বসবাস করতে পারে না। সৌদি আরবে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিনামূল্যে ইকামা লাভে সৌদি বাদশাহর এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। এ ছাাও সৌদি আরব বিনামূল্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের শিক্ষার ব্যবস্থার উদ্যোগও গ্রহণ করছে বলে জানা যায়। রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেয়া ইকামায় তারা সৌদি আরবের নাগরিকদের মতোই চিকিৎসা ও আবাসন সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে বলে জানা যায়।