গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট- আরও একবার প্রমাণিত হলো ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের মাধ্যমে। যেখানে টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে সাকিব আল হাসানের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।
এর আগে ২০১৪ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বার্বাডোজ। অন্যদিকে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে এসে খালি হাতে ফিরতে হলো গায়ানাকে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মোট সাত আসরের মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৫ ও ২০১৭ সালের আসরেই ফাইনাল খেলেনি তারা। এছাড়া চলতি আসরসহ মোট পাঁচবার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই হতাশায় শেষ হয়েছে তাদের টুর্নামেন্ট।
অথচ পুরো আসরজুড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো গায়ানার। বার্বাডোজের বিপক্ষে লিগপর্বে দুই ম্যাচ এবং কোয়ালিফায়ারের এক ম্যাচসহ পুরো টুর্নামেন্টে টানা ১১টি ম্যাচ জিতেছিল তারা, হারেনি কোনো ম্যাচ। অন্যদিকে লিগে প্রথম আট ম্যাচে মাত্র তিন জয় নিয়ে প্রায় বিদায় নেয়ার অবস্থায় চলে গিয়েছিল বার্বাডোজ।
কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে কাজ করেনি সেসব। গায়ানাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাকিবের দল। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বার্বাডোজ। বিপরীতে গায়ানার ইনিংস থামে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে। বার্বাডোজ পায় ২৭ রানের জয়।
এদিকে দল জিতলেও টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সাকিব। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব আজও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ব্যাট হাতে পাঁচ নম্বরে নেমে আউট হয়েছেন ১৫ বলে ১৫ রান করে। বল হাতে পাননি পুরো ৪ ওভার শেষ করার সুযোগ, ২ ওভারে খরচ করেছেন ১৮টি রান।
সাকিবের নিষ্প্রভতার দিনে বার্বাডোজের হয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জোনাথন কার্টার এবং রেয়মন রেইফার। শেষদিকে কার্টারের ২৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পায় বার্বাডোজ। পরে বল হাতে মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করে গায়ানাকে থামিয়ে রাখেন রেইফার।
ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়ায় ফাইনালের ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন জোনাথন কার্টার। আসরের সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বার্বাডোজের লেগস্পিনার হেইডেন ওয়ালশ।