একজন প্রবাসীর ওপর ভর করে একটি পরিবার স্বপ্নের পসরা সাজায়। এপারে ভরসা করে ওপারে বুনতে থাকে স্বপ্নের জাল। অনেক পরিবার তিন-বেলা খাবারের জন্যও চেয়ে থাকে এই প্রবাসীর ওপর। হাজারও দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে জন্মভূমি ও জননীকে ছেড়ে অচেনা অজানা দেশে পাড়ি জমায় হাজারও প্রবাসী। কেউ বলেন স্বপ্ন পূরণের আরেক না প্রবাসজীবন।
সকালের টেইক ফাইভ (টুলবক্স) মিটিং শেষ করার পর, জানাকি ভারাক্রান্ত মনে সব সহকর্মীকে ডাকলেন, এই আপনারা সবাই এদিকে আসেন, আমি আপনাদের কিছু বলতে চাই। টেইক ফাইভ হলো, শিপইয়ার্ডে কাজ শুরু করার আগে কর্মীদের সঙ্গে সুপারভাইজার, অফিসারদের মিটিং। যে মিটিংয়ে সুপারভাইজার তার কর্মীদের মাঝে কাজ বণ্টন করে দেন। এটাকে টেইক ফাইভ
‘প্রবাস জীবন’ এই কথাটার মধ্যে ইদানীং কারাগারের গন্ধ খুঁজে পাই। মনে হয় ছাদবিহীন এক জেলখানায় বসবাস করছি। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়- স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব ছাড়া সম্পূর্ণ অজানা এক দুনিয়া। প্রতিনিয়ত হাজারও সাদা কালো মানুষের ভিড়ে অতিপরিচিত কিছু মুখ খুঁজে বেড়ানো। কিন্তু না, আসলে আমরা হাজার হাজার মাইল দূরে কোনো এক অজানা শহরে
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সারা জাগানো জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শাবনূর অভিনয় থেকে দূরে আছেন অনেক দিন থেকেই। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পরিবারসহ বসবাস করছেন তিনি। অভিনয় থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিয়ে ব্যক্তি ও পরিবারিক জীবনটাকে এখন উপভোগ করছেন তিনি। সংসার ও সন্তানের দিকে তিনি এখন বেশি মনোযোগী।
প্রবাস জীবন আকর্ষণীয় হলেও পেছনে থাকে অন্যকিছু। কেউ হয়তো কর্মজীবনের কিছু সময়ের জন্য প্রবাসী হন, আবার কেউ সারা জীবন কাটাতে। এ জীবন কারো জন্য সুখের, কারো জন্য দুঃখের। দেশ থেকে মানুষ বিদেশ যায় দেশের মানুষগুলোকে ভালো ও আনন্দে রাখার জন্য। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও
একাকিত্ব, আবেগ, কষ্ট, উদাসীনতা, নীরবতা কান্নার অপর নাম প্রবাস জীবন। অনুভূতিগুলো ধারণ করাও কারো পক্ষে সম্ভব না। প্রবাস জীবনে প্রবাসীরাই এগুলো বেশি অনুভব করে। এখানে কেউ দুঃখ পায় না, কারণ দুঃখ পেতে আপনজন প্রয়োজন হয়। প্রবাস মানে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ, শুধু অজানাকে জানার আর অচেনাকে চেনা নয়, জীবিকা ও জীবনের
অনেক বড় স্বপ্ন ছিল বিদেশ যাব, বিদেশে কতই না সুখ। কতই না টাকা। এখন বুঝি প্রবাস জীবন কি সুখের। টাকা আছে ঠিকই কিন্তু সুখ নামের সোনার হরিণটা নেই। মায়ের সেই আদরমাখা ডাক নেই- বাবা খেতে আয় সেই সকালে খেয়েছিস, এখনও না খেয়ে কীভাবে আছিস। বন্ধুরা কেউ বলে না বিকালে ফুটবল
জীবিকার তাগিদে দেশান্তর প্রায় ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি। পরিবারের জন্য একটু সুখ আর মুখভরা হাসি ফোটাতে নিজের সুখকে জলাঞ্জলি দিয়ে সুখ কিনতে বিদেশে পাড়ি জমান প্রবাসীরা। কেউ সুখী হয় কেউ আবার দুঃখে ভরা জীবন পার করে। কেউবা সুখে থাকার অভিনয় করে। চাইলেই সুখ মিলবে এমনটা কিন্তু নয়। তবু জীবনের সঙ্গে
দেশে কাজ না পেয়ে অনেকেই ছুটছেন প্রবাসে। দেশের মায়া-মমতা ত্যাগ করে আপনজনের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ভিনদেশে কষ্টের জীবন। রমজান মিয়া (ছদ্মনাম) থাকেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে। ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন সবই আছে তার। সংসারের হাল ধরতে গিয়েছেন বিদেশে। নিজের ভাগ্য বদলের আশায় প্রবাস জীবন বেছে নিলেও ভাগ্য তার সঙ্গে করছে
২০০৫ সালে ছিলাম বাবা মায়ের বেকার সন্তান। ৫ ভাইবোনের সংসার আমাদের। অভাবের সংসারে ক্ষনে ক্ষনে বুঝতে পারছিলাম বাবা মায়ের সংসারের বোঝা ছিলাম আমি। অনেক কষ্ট আর ঋন করে পারি দিলাম মরুদেশ কুয়েতে। দীর্ঘ ৭ বছর প্রবাসে কাটিয়ে দিলাম সংসারের ঘানি টানতে টানতে। এক কথায় সংসারের সুখের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিলাম