
ফাইল ছবি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকারের মধ্যে দলীয় লোকজন থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না, তাদের সরিয়ে নিতে হবে। বুধবার (২২ অক্টোবর) নয়া পল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
রিজভী বলেছেন, “এ দেশের সর্বক্ষেত্রে চরমভাবে দলীয়করণ হয়েছে। ফলে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের অনেককেই দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।” তিনি বলেন, প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থায় দলীয়করণ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া কষ্টকর।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ মূলত সবাই মেনে নিয়েছে, এখন তার মধ্যে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। রিজভী এই দাবিও জানান যে সনদের প্রতিশ্রুতিগুলো ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো ভেবেছিলেন তাদের জমিদারি চিরস্থায়ী, কিন্তু ৫ আগস্টের পর অনেকের মানসিকতা বদলাতে শুরু করেছে।” তবে রিজভী স্বীকারও করেছেন যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক নয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষণার কথাও তুলে ধরে রিজভী জানান, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ২৫ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির স্বাভাবিক ও সুস্থ রাজনৈতিক কার্যক্রমে নানা বাধা ও ষড়যন্ত্র চলছে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে রিজভী পুনরায় বলেন, সুস্পষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বর্তমান প্রশাসন থেকে দলীয় লোকজনকে সরাতে হবে, অন্যথায় সফল নির্বাচন আয়োজন করা যাবে না।
































