Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, বাড়ছে সতর্কতার মাত্রা

korea-coronaদক্ষিণ কোরিয়ায় গত নয় মাসের মধ্যে একদিনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের পর রাজধানী সিউল ও তার আশেপাশের এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বিধিতে কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে সতর্কতার মাত্রা। রোববার দেশটিতে ৬৩১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে, ‘দ্য কোরিয়া ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি (কেডিসিএ)।

গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ চূড়ায় থাকার সময়ের পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৪৫ জনের। মহামারীর শুরুতে সফলভাবে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হওয়ায় বিশ্বজুড়েই দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। মূলত প্রচুর পরীক্ষা এবং ‘কন্টাক্ট টেসিং’ এর মাধ্যমে দেশটি এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে এসেছে।

chardike-ad

কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাম যেন হাত থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে। বিবিসি জানায়, প্রায় একমাসে দৈনিক তিন অঙ্কের সংক্রমণে দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭,৮৭৩ জনে। হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নেউং-হু বলেন, এখনই যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, “আমরা খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালগুলোতে এ মুহূর্তে রোগী ধারণ ক্ষমতা ছড়িয়ে যাওয়ার পর্যায়ে আছি আমরা।” এ অবস্থায় রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকায় আগামী তিন সপ্তাহের জন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

শনিবার থেকেই সিউলে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, বার ও ক্যাফে রাত ৯টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সারা দেশেও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকা বাদে বাকি দেশে সতর্কতার পর্যায় নিম্ন।