অ্যান্টিগা টেস্টের পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ দ্রুত ব্রেক থ্রু এনে দেন দলকে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছিল ক্যারিবিয়ানদের হাতে। শেষ সেশনে মিকেল লুইস ও অ্যালিক আথানেজেকে ফিরিয়ে দিনের শেষটায় টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান বোলাররা।
প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক সল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।
টস জিতে অধিনায়ক মিরাজ বোলিং নেওয়ার পর শুরুতেই বাংলাদেশকে দুই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। টাইগার এই পেসারের বলে ইনিংসের ১৪তম ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন ক্রেগ বাফেট। দলীয় ২৫ রানে তাসকিনের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন ব্রাফেট। শুরুতেই উইকেটের দেখা পাওয়া তাসকিন ফের আঘাত হানেন নিজের পরের ওভারেই।
১৬তম ওভারে তার শিকারে পরিণত হন কেসি কার্টি। এবার তাসকিনের বলে তাইজুল ইসলামের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কার্টি। দলীয় ২৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। তবে এ চাপ সামলে নেন ওপেনার মিকেলে লুইস ও কেভম হজ। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
তবে হজ এদিন নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৮৪ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এদিকে হজ ফেরার পর ক্রিজে লুইসের সঙ্গী হন অ্যালিক আথানেজ। চতুর্থ উইকেটে এ দুজনের জুটিতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্যারিবীয়রা। দুজন মিলে গড়েছিলেন ১৪০ রানের জুটি। এ জুটি গড়ার পথে লুইস ও আথানেজ দুজনই সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন। তবে দুজনই আউট হয়েছে শতক হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে।
দলীয় ২২৪ রানে মিরাজের বলে যখন লুইস আউট হন তখন তার রান ৯৭। আর লুইস ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ৪ রান যোহ হতেই যখন আথানেজ আউট হন তখন তিনি সেঞ্চুরি থেকে আর ১০ রান দূরে ছিলেন। এ দুজন ফেরার পর ৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে স্বাগতিকরা।