পেটের সমস্যা বা গোলমাল যেকোনো ঋতুতেই হতে পারে। কখনো বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, আবার কখনো ঘরের অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে। তবে গরমের দিনে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এমন অবস্থায় সাধারণত অনেকে খাবার স্যালাইন পান করে থাকেন। তবে স্যালাইনের পাশাপাশি এমন কিছু খাবারও আছে, যা খেলে পেটের অস্বস্তি কমে ও দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই, পেট খারাপ হলে কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত।
১) কলা: কলাকে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড বলে। তাই পেট খারাপে আলাদা করে ওষুধ না খেয়ে কলা খেতে পারেন। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম পেটের খেয়াল রাখে। প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। পেট খারাপ হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ভেতর থেকে শরীরকে চনমনে থাকতেও তাই এই সময় কলা খেতে পারেন।
২) আদা চা: পেট খারাপের পাশাপাশি পেটে ব্যথা, বমি ভাব ও গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা লেগেই থাকে। আদা এসব থেকে রেহাই দিতে পারে। এজন্য আদা কুচি করে গরম পানিতে জ্বাল দিয়ে নিন। স্বাদ অনুযায়ী লেবু আর মধু দিয়ে ছেঁকে নিয়ে খান। শরীরের বিভিন্ন প্রদাহে আদা দারুণ কাজ করে।
৩) ওটস: ওটস খেতে সুস্বাদু বলে অনেকেই সকালের নাশতায় ওটস রাখেন। ওটসে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ওটসের দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক। তাছাড়া এতে থাকা প্রিবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কাজ করে।
৪) অ্যাপলসস: আপেলে থাকা পেকটিন মল ঘন করে, হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা কমায়। অন্ত্রের ভালো ব্যাক্টেরিয়া বাড়ায় এবং গ্যাস বা অস্বস্তি কমায়।
৫) চালের মাড়: জাউ বা সেদ্ধ চালের পাতলা পানি পেট ঠান্ডা রাখতে এবং তরল ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
৬) চিকেন স্যুপ (তেল ছাড়া): হালকা চিকেন স্যুপ বা ঝোল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে।
৭) চর্বিহীন প্রোটিন: প্রোটিন শরীরের জন্য জরুরি অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে। যা হজম, কোষ মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।
৮) আলু: আলু শক্তি জোগায় এবং সহজপাচ্য। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, যা ডায়রিয়ার সময় ঘাম ও পানির সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
৯) সিদ্ধ গাজর: সিদ্ধ গাজর অন্ত্রের জন্য কোমল। এতে থাকে দ্রবণীয় আঁশ, যা পাতলা মলকে ঘন করতে সাহায্য করে। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন রূপান্তরিত হয় ভিটামিন ‘এ’-তে, যা অন্ত্রের আবরণ ও রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
১০) মধু: এক চামচ বিশুদ্ধ মধু খেলে পেটের অস্বস্তি ও গ্যাস কমে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আরো ভালো ফল পাওয়া যায়।