Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নভেম্বরে সিউলে পারমাণবিক নিরাপত্তা সম্মেলন

উত্তরপূর্ব এশিয়ায় ক্রমেই বাড়ছে পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের সংখ্যা। বিষয়টিকে এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। আগামী ২৬-২৮ নভেম্বর সিউলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের দু’শর মতো সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। উত্তরপূর্ব এশিয়ার পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে একটি সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণে প্রেসিডেন্ট পার্ক গুণ হে’র প্রস্তাবনার ধারাবাহিকতায়ই এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন।

chardike-ad
korea_atomic_power_plant
কোরিয়ার একটি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র

প্রসঙ্গত, উল্লেখিত অঞ্চলের পারমাণবিক নিরাপত্তার জন্য দ. কোরিয়া, চীন ও জাপান ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিতভাবে একটি বার্ষিক আলোচনা সভা করে আসছে। গত ১৫ই আগস্ট প্রেসিডেন্ট পার্ক এ সভায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়ার প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। গত সপ্তাহে জাপানে এসব দেশের প্রতিনিধিসহ একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমায় একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর ওই এলাকার ৩ লক্ষাধিক অধীবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন আহত হন। ফুকুশিমা ট্র্যাজেডির পর এ অঞ্চলের পারমাণবিক নিরাপত্তার বিষয়টি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জন্ম দেয়।

উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বে মোট পারমাণবিক কেন্দ্রের কুড়ি শতাংশই চীন, জাপান ও দ. কোরিয়ায় অবস্থিত। কোরিয়ায় এই মুহূর্তে অ্যাটমিক প্ল্যান্টের সংখ্যা ২৩টি  যা ২০২৪ সাল নাগাদ ৩৪-এ উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।