Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশ থেকে দেড় লাখ কর্মী নেয়া হবে : মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী

malaysiaমালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, চাষাবাদ, নির্মাণ, কারখানাজাত উৎপাদন, সেবাখাতসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশ থেকে তিন বছরে দেড় লাখ কর্মী নেয়া হবে।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় আসার আগে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবশ্যই মৌলিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং যে সেক্টরে কাজে যোগ দিতে আগ্রহী তার ওপর পড়ালেখা থাকতে হবে। এছাড়া অপরাধের সাথে শ্রমিকদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি-না বা কোনো সংক্রামক রোগ রয়েছে কিনা তা আগে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেয়া উচিত।

chardike-ad

মালয়েশিয়ার যেসব এনজিও বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে তাদের সাথে আলোচনা করে এর পেছনে যুক্তিগুলো তুলে ধরা হবে বলে জানান উপ-প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সাথে বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামার সাথে আলাপকালে হামিদি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে শ্রমিক ইস্যুটি প্রাধান্য পেয়েছে। সমুদ্র ও স্থলপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় আসতে গিয়ে প্রাণ হারানো বাংলাদেশীদের নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়ার চাকরিদাতাদের দ্বারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচানোর উপায় নিয়েও আলাপ হয়েছে।

হামিদি বলেন, অবৈধ শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা পায় না। তবে বৈধ শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক বিধিমালা অনুসরন করেই সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার নাগরিকরা তিন ধরনের কাজ করতে আগ্রহী নয়। এগুলো থ্রি-ডি হিসাবে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে বিপজ্জনক, কঠিন ও নোংরা কাজ। এসব কাজের জন্য বাংলাদেশসহ বিদেশী শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে।

হামিদি বলেন, ক্রমবর্ধমান শিল্প-বাণিজ্যের চাহিদা মেটাতে আমাদের বিকল্প পথের দিকে তাকাতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে হবে।