শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি সৌদি আরবে পালিয়ে থাকা কামরুলকে ফিরিয়ে দিচ্ছে সেদেশের সরকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি রয়্যাল কোর্ট কামরুলের ডেপুটেশন অনুমোদন করে দিয়েছেন। সৌদি সরকার তাদের আদালতের এ সিদ্ধান্ত ইন্টারপোলকে জানিয়েও দিয়েছে।
আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আইনের আওতায় দেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
গত ৮ জুলাই সিলেট-সুনামগঞ্জ রোডের কুমারগাঁও বাসস্টেশন এলাকার বড়গাঁওয়ে সুন্দর আলী মার্কেটের একটি ওয়ার্কশপের সামনে চুরির অপবাদে বারান্দার খুঁটিতে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয় শিশু রাজনকে। নির্যাতনের ফলে রাজনের মৃত্যু হয়।
এই হত্যার অন্যতম আসামি কামরুল। রাজন হত্যার পর তিনি সৌদি আরবে পালিয়ে যান।
৮ জুলাই হত্যার পর রাজনের লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। সেদিন রাত ১১টার দিকে একটি মাইক্রোবাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তখনো এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি দেশে।
এরপর রাজনের হত্যাকারীরা তার ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ইউটিউবে রাজনকে নির্যাতনের এই দৃশ্য প্রচারের পরই সিলেটসহ দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে ঘাতকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জন কারাগারে রয়েছেন। সরকার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি সৌদি আরবে পালিয়ে থাকা কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার।